Tuesday, 15 October 2013

পেনড্রাইভের সাহায্যে উইন্ডোজ ইনস্টল

ইউএসবি পেনড্রাইভকে বুটেবল করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা খুবই সহজ। ডিভিডি রম-সুবিধা না থাকলে বা কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বুটেবল পেনড্রাইভ একটি ভালো সমাধান। কমপক্ষে ৪ গিগাবাইট অথবা তার চেয়ে অধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটা পেনড্রাইভ হলেই চলবে। এটি করতে উইন্ডোজের স্টার্ট বাটনে ক্লিক করার পর সার্চ বক্সে cmd লিখলে যে প্রোগ্রামটি আসবে, তাতে রাইট বাটন ক্লিক করে Run as administrator হিসেবে ওপেন করুন, ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল ডায়ালগ বক্স এলে ইয়েস চাপুন। এবার কমান্ড প্রম্পট উইন্ডো চালু হলে তাতে diskpart লিখে এন্টার চাপুন। ডিস্কপার্ট অবস্থায় এলে list disk লিখে এন্টার চাপলে আপনার সিস্টেমে যেসব ড্রাইভ সংযুক্ত আছে, তার লিস্ট ও পাশেই সাইজ দেখাবে। এখানে একটা বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত আপনার হার্ডডিস্ক হবে Disk 0, যার সাইজ গিগাবাইটে দেওয়া আছে। নিচেই পাবেন আপনার পেনড্রাইভ Disk 1 অথবা Disk 2 এ রকম, যার সাইজ মেগাবাইট আকারে পাবেন। এখান থেকে আপনার পেনড্রাইভটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে। Disk 1 আপনার পেনড্রাইভ হলে select disk 1 অথবা Disk 2 হলে select disk 2 লিখে এন্টার চাপুন। এরপর clean লিখে এন্টার চাপতে হবে। তারপর create partition primary লিখে এন্টার চাপলে পার্টিশন তৈরি হবে। এবার ড্রাইভটি ফরমেট করতে হবে। লিখুন format fs=ntfs quick এবং এন্টার চাপুন। ফরমেট হতে সামান্য একটু সময় নেবে। এটাই শেষ ধাপ। active লিখে এন্টার চাপুন। তারপর exit লিখে বের হয়ে আসুন। বুটেবল পেনড্রাইভ তৈরি হয়ে গেল। এখন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ভিডিডি (Windows Vista, 7, 8 অথবা 8.1) থেকে সব ফাইল কপি করে পেনড্রাইভে পেস্ট করে দিন। ইমেজ ফাইল বা ISO ফাইল থাকলে সেটাকে উইনরার, উইনজিপ অথবা সেভেন-জিপ—যেকোনো একটা দিয়ে এক্সট্রাক্ট করে পেনড্রাইভে কপি করতে হবে। যে কম্পিউটারে ওএস ইনস্টল করতে হবে, তাতে পেনড্রাইভ প্রবেশ করিয়ে মেশিন চালু করে বুট মেন্যু থেকে পেনড্রাইভ বা রিম্যুভেবল ডিস্ক নির্বাচন করে দিন। উইন্ডোজ ইনস্টলেশন শুরু হয়ে যাবে।—মঈন চৌধুরী, ঢাকা

Saturday, 12 October 2013

রাজনীতি শুধু রাজনীতিকদেরই ভাগ্যোন্নয়ন করেছে: এরশাদ

রাজনীতি শুধু রাজনীতিবিদদেরই ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, “দেশের তরুণ সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই রাজনীতি কিছুই দিতে পারেনি। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে পারেননি। রাজনীতিকরা  তাদের নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।”

শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে সার্ক কালচারাল সোসাইটির আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ আরো বলেন, “আমার ভাবতে অবাক লাগে, ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের ভেতরেও তারা এক টেবিলে বসতে পারলেও আমাদের দেশের দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানো যায় না।”

দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরে এরশাদ বলেন, দেশ আজকে কেথায় যাচ্ছে। রাজনীতি ব্যর্থ হয়েছে বলে সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সিসা, ইয়াবা ও  ফেন্সিডিল  কোথা থেকে এলো।

তিনি বলেন, আমরা দিক হারিয়ে ফেলেছি। ছেলে মেয়ের এক সঙ্গে সিসা খাওয়া দেখে গা শিউরে ওঠে। সিসা খাওয়া আমাদের কালচার নয়। সিসা খাওয়া আধুনিকতা নয়। আমাদের সন্তানরা অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ছে। এখান থেকে রক্ষা করতে হবে।


জাপার চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সন্তানরা অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ছে। সেখান থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। অপসংস্কৃতির কারণে ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি ডালিং/তেরে লিয়ে, গান সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ আমাদের সংস্কৃতির চেয়ে বড় সংস্কৃতি নেই পৃথিবীতে।

এরশাদ বলেন, আমরা নজরুলের গান শুনি না। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমানকে বাঁচিয়ে রাখুন। না হলে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সোনারগাঁ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলী আকবর প্রমুখ।

এমএলএম আইন-২০১৩ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত

প্রশাসক নিয়োগসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে 'মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩'-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি জনগুরুত্বসম্পন্ন ও জরুরি বিধায় একই সঙ্গে এটি অধ্যাদেশ আকারে জারিরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং এদের প্রতারণার হাত থেকে জনগণকে রক্ষার জন্য এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এমএলএম কোম্পানিগুলো ইলেকট্রনিক ও গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবসা করতে পারবে। যেমন ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, প্রসাধন সামগ্রী, টেলিকমিউনিকেশন সামগ্রী ও কৃষিজাত পণ্যসহ ৬ ধরনের পণ্য এর আওতায় আসবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলোকে বন্ধ করা হবে না, তবে তাদেরকে অধ্যাদেশ জারির ৯০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এ ব্যবসা করতে পারবে না এবং অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। লাইসেন্সের মেয়াদ ১ বছর হবে এবং পরে কোম্পানিগুলো চাইলে নবায়ন করতে পারবে। তবে আইনের শর্ত ভঙ্গ করলে সরকার কোম্পানির লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে। লাইসেন্স নবায়ন না করলে কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া কোম্পানি আইনে কোম্পানি গঠন করতে হবে এমএলএম কোম্পানিগুলোকে। এমএলএম কোম্পানিগুলো যেসব পণ্য কেনাবেচা করতে পারবে সেগুলো হচ্ছে_ গৃহস্থালি, ইলেকট্রনিক, প্রসাধনী, হারবাল, টেলিযোগাযোগ, ট্রয়লেট্রিজ, সেবা, প্রশিক্ষণ ও কৃষিজাত পণ্য ইত্যাদি।
প্রস্তাবিত আইনে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদ-। অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করলে ১ থেকে ২ বছর কারাদ- এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা, বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলো লাইসেন্স না নিলে ৬ থেকে ১০ বছরের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। প্যাকেজিংয়ের বিধান লঙ্ঘন করলে ১ থেকে ২ বছরের জেল এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা। মোড়কে লিখিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ১ থেকে ৩ বছরের জেল এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা। অযৌক্তিক মূল্য আদায় করলে ১ থেকে ৩ বছরের জেল এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা, নিম্নমানের পণ্যের জন্য ২ থেকে ৫ বছরের জেল এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ক্রেতার অনুমতি না নিয়ে তার বাড়িতে যাওয়া কিংবা জোরপূর্বক পণ্য বিক্রি করলে ৬ মাস থেকে ১ বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া টার্গেটকৃত ভোক্তা বা ক্রেতার অনুমতি ছাড়া কোনো এমএলএম কোম্পানির প্রতিনিধি যদি তার বাড়িতে গিয়ে পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বসে থাকে তবে তার জন্যও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদ- এবং এ আইনে উল্লেখ নেই এমন কোনো কার্যক্রম যদি অপরাধ বলে গণ্য হয় তবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
সচিব জানান, আইন অমান্যকারীদের বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে এবং দ্বিতীয়বার আইন অমান্য করলে দ্বিগুণ শাস্তি হবে। ধাপে ধাপে শাস্তির পরিমাণও বাড়বে।
প্রশাসক নিয়োগ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, কোম্পানি সরকারের কাছে অপরাধী বলে গণ্য হলে সরকার তার বোর্ড রহিত করে এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
সরকার যদি মনে করে, কোনো কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে সর্বসাধারণকে প্রতারিত করছে এবং জনস্বার্থে এ কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করা দরকার তাহলে সরকার লিখিতভাবে কারণ দেখিয়ে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তথা এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ এবং পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে পারবে। প্রশাসক নিয়োগের চারটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- সরকার যদি মনে করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে কোনো কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে, কোম্পানির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রতারণা করলে, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং জনস্বার্থে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন মনে করলে।
সচিব জানান, এছাড়া মন্ত্রিসভায় 'ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৩'-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, 'তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৩'-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং 'সার্ক এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিসেস'-এর আওতায় বাংলাদেশের 'শিডিউল অব স্পেসিফিক কমিটমেন্টস'-এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Wednesday, 21 August 2013

অ্যাপল ব্যবহারকারীরা ঝুঁকছেন অ্যান্ড্রয়েডে |প্রথম আলো | ২১-০৮-২০১৩

বাড়ছে অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনের ব্যবহারকারী। খবরটি অনেক দিন আগের হলেও সম্প্রতি জানা গেছে, অ্যাপলের আইওএস ব্যবহারকারীদের অনেকেই এখন অ্যান্ড্রয়েডে চলে যাচ্ছেন। অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে অ্যান্ড্রয়েড এবং মাইক্রোসফটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়ছে অ্যাপল।সম্প্রতি কনজিউমার ইনটেলিজেন্স রিসার্চ পার্টনারস (সিআইআরপি) কর্তৃক প্রকাশিত এক তথ্যে জানা গেছে, গত বছর মোট আইফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ২০ শতাংশ বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ব্যবহার করছেন। একই সময়ে ৭ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্যামসাং ছেড়ে অ্যাপলের আইফোন ব্যবহার করছেন। তবে শুরুতেই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে অ্যাপল। তথ্য অনুযায়ী স্যামসাং ব্যবহার করেন এমন প্রায় ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই আগে অ্যাপল অথবা অন্য ওএসের স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন।তবে স্মার্টফোন পছন্দের ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ হচ্ছে, আগে থেকেই নির্দিষ্ট ওএসের সঙ্গে অভ্যস্ত থাকার বিষয়টি। সিআইআরপির তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ শতাংশ ব্যবহারকারী আগে থেকেই অ্যাপলের ওএস আইওএস ব্যবহার করতেন, পরে যাঁরা আইফোন নিয়েছেন। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত স্মার্টফোন ক্রেতাদের ওপর পরিচালিত জরিপে এসব তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।জরিপে আরও জানা গেছে, স্যামসাংয়ের তুলনায় অ্যাপল ব্যবহারকারীরা উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ও বেশি শিক্ষিত। আর প্রায় ৬৯ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩৪-এর মধ্যে। তবে সামগ্রিক সুবিধার দিক দিয়ে অ্যাপলের স্মার্টফোনের বাজার কিছুটা কমেছে, যেখানে এগিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজচালিত স্মার্টফোন। —দ্য টেলিগ্রাফ

Friday, 16 August 2013

এসো মোমিন ভাই, কুর্মের গান গাই পীর চরমোনাইয়ের, ( ঊৎসর্গ এম, এম , নুর-হোসাইনি)


পীর ব্যবসা বাংলাদেশে জমজমাট অনেক আগে থেকেই। আগে ট্রেন বাস লঞ্চের গায়ে পোষ্টার দেখতাম এমুক /তেমুক পীরের উরস। আজকাল ব্লগে শুরু হইছে এই প্রচারনা। কোন কিছু জিজ্ঞাসাতে যখন বংশ কুলের হিসাব চাওয়া হয়!! তখন কি আর বসে থাকা যায়? তারপর আবার জ্ঞান বিতরন শুরু দোযখের ভয় দেখানো আর সেই পূরোনো বুলি নতুন রুপে। এম এম হোসাইনি অজ্ঞান না হয়ে থাকলে পোষ্টে আপনার সুরত দর্শনের আশায় থাকলাম।

১ম লিঙ্ক,http://www.amarblog.com/M-M-NOUR-HOSSAIN/posts/148573
২য় লিঙ্ক,http://www.amarblog.com/M-M-NOUR-HOSSAIN/posts/148522

শুরু করলাম- বিস্তারিত লিখতে গেলে পোষ্ট বড় হয়ে যায় তাই সংক্ষেপে,
চাদপুর জেলার ঊজানী এলাকার পীর মরহুম ক্বারি ইব্রাহিমের কাছ থেকে ১৯৪৬ সালে খেলাফত লাভ করেন মাওলানা এসহাক। এই মাওলানা এসহাক পরবর্তীতে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা জহুরুল হক ও মাওলানা আব্দুল হাইসহ কয়েক জন সাগরেদ নিয়ে বরিশাল সদর থানার উত্তর পুর্বকোনে কীর্তনখোলা নদীর তীরে চর মোনাই দরবার গড়ে তূলেন। ১৯৭৩ সালের মৃত্যুও আগ পর্্যমন্ত অনেক ভক্ত-আশেকান সৃষ্টির মাধ্যমের পীর ব্যবসায় প্রতিষ্টিত হন। মাওলানা এসহাকের জীবদ্দশায় বর্তমান পীর ( মাওলানা এসহাকের বড় ছেলে) ফজলুল করিমকে বেশী দেখা না গেলেও মৃত্যুর পর তিনিই (৩৬ বছর বয়সে) পীরের দরবার পরিচালনার দায়ীত্ব অনেকটা জোর করেই দখল করেন। ধীরে ধীরে তার পছন্দের অনুসারীদের রেখে বাকীদের বিতারিত করেন। প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা বলতে কোন খোজ খবর না থাকলেও তিনি কওমি শিক্ষায় শিক্ষিত বলে দাবি করেন।
পীরানি মজবুত করতে চতুর ফজলুল করিম রাজণীতিক জীবনে প্রবেশ করেন এবং হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে। কিন্তু অল্প দিনেই নেতৃত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টে টের পেয়ে হাফেজ্জী হুজুর খেলাফত আন্দোলন থেকে তাকে বহিস্কার করেন। পরে নিজেই ১৯৮৭ সালে ১৩ই মার্চ “ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলন” নামে একটি রাজনীতক দল গঠন করেন। রাজণীনৈতিক জীবনে প্রথমে জামাতে ইসলামী’র সাথে সখ্য গড়ে তুলেন এবং নেতৃত্বের দন্দ্বে ঠিকতে না পেরে নীরবেই কেটে পড়েন এবং‘ইসলামী ঐক্যজোটের” ব্যানারে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারান। আবার জামানত হারানোর ভয়ে ২০০১ সালে হুমূ এরশাদের সাথে লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করে হালে পানি পাননি। তারপর ২০০৮ সালে হাসিনার শাড়ীর আচল আকড়িয়ে ধরেন। এখন ২০১৩ সালে কোথায় তার গন্তব্য অপেক্ষায় আছি।

রাজণীতিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পীরানি ব্যবসায় তিনি সফল, বৈধ্য পয়সা আয়ের কোন পন্থা না থাকলেও তিনি গড়েছেন বিশাল সম্পত্তি,
রাজধানীর উলন রোডে ৫ কাঠা জায়গায় দূটি ৬তলা বাড়ী, হাজি আবু সাঈদের সঙ্গে রামপূরা সুপার মার্কেটের যৌথ মালিকানা, আমেরিকান এম্বাসির পুর্ব দিকে ণূরের চালায় কয়েকশ বিগা জমি ও ব নশ্রীতে ২টি বাড়ী ও কয়েকটি প্লটের মালিক তিনি। তাছাড়া নিজ এলাকা বরিশালের হাট খোলায় মার্কেট- আড়ত, চড়কাওয়া ও চড়মোণাইতে রয়েছে কয়েকশ বিগা জমি। কালীগঞ্জ বানুরি পাড়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসের বাড়ীর পাশে সৈয়দ ব্রিকফিল্ড সহ কয়েকটি ইটের ভাটা। এছাড়া ভোলা ও কুয়া কাটায় রয়েছে তার নামে বেনামে বিশাল সম্পত্তি।
ছবি আছে পোষ্ট ছোট রাখার স্বার্থে দেইনি।
১৯৯৯ সালে ঢাকার পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের মালিক হাজ্বী দীন ইসলামের চাচাত ভাই ঊস্মান গনির সাথে যোগসাজশে জাল চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় তলার ৫০০০ স্কয়ার ফিটের ফ্লোর নিজ দলের লোকজন নিয়ে দখল নেন। এবং সেখানে ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলনের অফিস কাম নেতা কর্মী থাকার ব্যবস্তা হয়। এ নিয়ে হাজী দ্বীন ইসলামের হাইকোর্টের মামলা এখনো ঝুলে আছে।


এবার চোখ দেই পরিবারের দিকে, মাওলানা এসহাকের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাত বর্ত্মান পীরের সৎ মা আমেনা বেগম এই পীরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাবা’র বাড়ী নোয়াখালিতে ছিলেন মাওলানা জিবদ্দশাতেই, তাই মাওলানা এসহাক তার সাগরেদের মাধ্যমে ঢাকার গোপীবাগে বাড়ী কিনে দেন দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানের নামে। ১৯৭৭ সালে সেই বাড়ীতে ঘর তৈরি করে বাস করতে গেলে বর্তমান পীর ফজলুল করিমের লোকজন ঊচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এই নিয়ে ভুমি জরিপ অধিদপ্তর ঢাকায় ৩১ ধারায় সংশোধনী মামলা করেন যা এখনো চলছে। ঊল্টা মামলা করেন ফজলুল করিম পিতার মিথ্যা অসিয়ত নামে দেখিয়ে কিন্তু এই মামলা ১১৯৬ সালের ৪ সেপ্টেমবর খারিজ হয়ে গেলে মাওলানার লোকজন হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে রাম্পূরা থানায় জিডি করা আছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সাপ্তাহিক ২০০০ ছাপা হয়ে ছিল, তার কিছু অংশ,


কেল্লা বাবার মাজার সমাচার ১ম পর্ব


লিখেছেনঃ -নাছিম- (তারিখঃ বৃহঃ, ১২/০৭/২০১২ - ১৬:০৬)


ধর্ম ব্যবসার প্রকার ভেদ সংখ্যায় প্রধানতম কয়েকটি’র একটি মাজার ব্যবসা। পোষাক পরিচ্ছেদে দলে থেকে দলের ভিন্নতা থাকলেও লক্ষ্য অভিন্ন থাকে। সেটা হ্ল ছলে বলে কৌশলে বিত্তশালী হয়ে ঊঠা। এই চতুর ব্যাপারি বর্গ অনেকটাই পর্দার আড়াল থেকে সু-কৌশলে কলকাঠি নাড়েন এই বিষয় টূকু অনেকেই জানেন। যেমন করে, নির্ধারিত জায়গাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক ভিত্তি গড়ে তুলেন। প্রথমে নিজেদের চেলা চামুন্ডা দিয়ে শুরু করলেই সমাজের সুবিদা বঞ্চিত একটি জনগুষ্টি এক প্রকার বিনা দাওয়াতে হাজির হন এক থালা খিচুড়ীর আশায়। হিজড়া সম্প্রদায়- শাররিক বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী, নেশাগ্রস্ত, ভুমিহীন, ভবঘুরে শ্রেনী, অনেকেই নীরহ প্রকৃতির যার ধর্মজ্ঞান শূণ্যের ঘরে, কেউ আবার টূকাই সম্প্রদায়ের। তবে লক্ষ্য প্রতিষ্টার শুরু তাদের ঘাড়ে ভর দিয়েই। ধীরে ধীরে ডালপালা- আজব গুজব দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করে। তাদেরই একটি মাজার আজকের পোষ্টের মূল প্রতিপাদ্য। 
ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া থানার খড়মপুরে অবস্থিত হজরত সৈয়দ আহম্মদ (রঃ) এর দরগাহ যা কেল্লা শহীদের দরগাহ নামে সমগ্র দেশে পরিচিত। কেল্লা শহীদের দরগাহ সম্পর্কে যে কাহিনী প্রচলিত আছে তা হচ্ছে এই যে, সে সময় খড়ম পুরের জেলেরা তিতাস নদীতে মাছ ধরত। একদিন চৈতন দাস ও তার সঙ্গীরা উক্ত নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ তাদের জালে একটি খন্ডিত শির আটকা পড়ে যায়। তখন জেলেরা ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে এবং খন্ডিত শিরটি উঠাতে গেলে আল্লাহর কুদরতে খন্ডিত শির বলতে থাকে ‘একজন আস্তিকের সাথে আর একজন নাস্তিকের কখনো মিল হতে পারে না। তোমরা যে পর্যন্ত কলেমা পাঠ করে মুসলমান না হবে ততক্ষণ আমার মস্তক স্পর্শ করবে না।’ খন্ডিত মস্তকের এ কথা শুনে মস্তকের কাছ থেকে কলেমা পাঠ করে চৈতন দাস ও সঙ্গীরা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যায়। মস্তকের নির্দেশ মোতাবেক ইসলামী মতে খড়মপুর (তিতাস পাড়ে) কবরস্থানে মস্তক দাফন করে। ধর্মান্তরিত জেলেদের নাম হয় শাহবলা, শাহলো, শাহজাদা, শাহগোরা ও শাহরওশন। তাঁরাই এ দরগাহের আদিম বংশধর। এই দরগাহের খ্যাতি ধীরে ধীরে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ থেকেই শাহ পীর সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ ওরফে কেল্লা শহীদের পবিত্র মাজার শরীফ নামে পরিচিতি লাভ করে। ২৬০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দরগা শরীফের জায়গা তৎকালীন আগরতলা রাজ্যের মহারাজা দান করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণ অনুমান করেন যে, আওলিয়া হজরত শাহ জালাল (রঃ) এক সঙ্গে সিলেটে যে ৩৬০ জন শিষ্য এসেছিলেন হজরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তরফ রাজ্যেও রাজা আচক নারায়নের সঙ্গে হজরত শাহজালালের প্রধান সেনাপতি হজরত সৈয়দ নাসিরউদ্দিন যে যুদ্ধ পরিচালনা করেন সে যুদ্ধে হজরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ শহীদ হন এবং তাঁর মস্তক তিতাস নদীর স্রোতে ভেসে আসে। লোক মুখে কথিত ছাড়া সঠিক ইতিহাসে কোন খোজ ঠিকানা নেই। তবে এই কথাও প্রচলিত আছে যে, নিম্মবর্ন হিন্দু জেলে সম্প্রদায় একই জেলার নবীনগর থেকে শক্তিশালী ব্রাক্ষন দ্বারা বিতারিত হয়ে তিতাস পাড়ে বসতি গড়ে ছিলেন। মৎস আহোরনের ক্ষুদ্র আয়ে খেয়ে পড়ে বেচে থাকার নিদারুন কষ্ট থেকে পরিত্রান পেতেই এই চার মালু ফন্দি আটকান এবং শুরুতে হিন্দু হিসাবেই খাদেম থাকলেও ধীরে ধীরে মুসলমানের প্রভাব বাড়তে থাকায় ব্যবসায়িক কতৃত্ব বজায় রাখতে মুসলমান নাম ধারন করেন যদিও তাদের ধর্মান্তরিতের কোন তত্ব প্রমান কারো আছেই নেই। এখন প্রতি বছর কেল্লা শহীদের মাজারে বাংলা ভাদ্র মাসের ২৬-৩০ তারিখ বাৎসরিক ওরসে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। হয় কোটি কোটি টাকা আর অসংখ্য ছোট বড় প্রাণী ও উপহার সমাহার। এর ছোট্র একটি অংশ ডাল খিচুড়িতে ব্যয় হয় আর বাকী খাদেম গোষ্টির পকেটে এমনকি খাদেমের ছেলে মেয়ে সবাই এর অংশ পায় শ্রেনীবিভাগে । উপরে উল্লেখিত চার বংশের লোকজন ব্যাতিত অন্য কেহ মাজার পরিচালনা কিংবা খাদেম নিয়োজিত হতে পারে না। পরিচালনা ও অন্যান্য শাখার ক্ষমতার দন্ডে অনেক হত্যাকান্ড গঠিত হয়েছে কিন্তু চতুর খাদেম গোষ্টি নিজেদের মধ্যেই বিবাদ মিটিয়ে হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতা দখলে নির্বাচন প্রথা চালুর পর এক ভয়াবহ রুপ ধারন করে। পয়সা দিয়ে ভোট কেনা, ব্লাক্মমেইল করে ভোট আদায় ইত্যাদি ইত্যাদি। নিজ আয়ত্বের বাহিরে কিছু ঘটলে তখন কিন্তু আর গোপন থাকেনা এমনি তাদের একটি অংশ,

তাজা খবরঃ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল হক খাদেমকে মালিবাগ এলাকায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যায়।

পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবরঃ-
ঢাকার মালিবাগে রোববার বিকেলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ব্যক্তি হলেন আখাউড়া শাহপীর কল্লা শহীদ মাজার শরীফের সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক খাদেম আনিস (৫০)
 এখানে 


বিস্তারিত প্রতিবেদন : ঢাকা বিভাগীয় অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনিস খাদেম হত্যার নেপথ্য উন্মোচিত হয়েছে। পেশাদার ৫ খুনিকে আটক করেছে র্যািব। এরা হচ্ছে- সাইদুর রহমান মিনু খাদেম (৫৮), খুনি শেখ শামিম আহমেদ (২৮), কিলার বিপ্লব (৩৫), মাহবুব আলম লিটন (২৫) ও পিচ্চি সোহেল (২৫)। র্যা বের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ও তার বাইরে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে। আটকৃতদের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা খুনের নেপথ্য। মাজার পরিচালনার দন্দ্বে মিনু খাদেমের করা দেড় কোটি টাকার চুক্তিতে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় ।

কে এই মিনু খাদেম? গুলশানে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রি প্রতারণা চক্রের অন্যতম হোতা এই মিনু খাদেম। ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির ল্যাক্সিংটন কলেজ থেকে বিবিএ পড়াশুনা শেষ করে সে ন্যাশনাল ব্যাংক কুমিল্লা শাখায় যোগদান করে। ঐ ব্যাংক থেকে সে এক বছরে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে নিজ গ্রামে কল্ল্যাশাহ মাজারে খাদেম নিযুক্ত হয়। ১৯৯৬ সালে সে মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। কল্ল্যাশাহ মাজারে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ টাকা অনুদান উঠত। এ টাকার বেশিরভাগই মাজার কমিটির সদস্যরা লুটপাট করত। ২০০২ সালে মাজার কমিটির নির্বাচনে মিনু খাদেম হেরে যায়। এরপর মাজার থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে মিনু খাদেমের বিরুদ্ধে। মিনু খাদেম গুলশানে ফ্ল্যাট বিক্রির ব্যবসা শুরু করে। গুলশানে সে তার দুইটি ফ্ল্যাট একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছে। এই ফ্ল্যাট বিক্রির ঘটনায় ৬৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ওঠে। এছাড়া সে গুলশানে চিলি দূতাবাসের সামনে একটি দোতলা বাড়ি দখল করে নিতে আবুল খায়ের খাদেম নামে আরেক ব্যক্তিকে হোন্ডা বাবুর মাধ্যমে খুন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। 

পোষ্ট ছোট রাখার স্বার্থে সম্পুর্ন পোষ্টকে দুই ভাগে দেয়ার মনস্থির করেছি। ২য় পর্বে থাকবে,
মাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধ, অসামাজিক কার্যকলাপ, প্রকাশ্যে শিরিক, মুর্খ্যতার মাত্রা ও খাদেম সম্প্রদায়ের বিস্তারিত।

Wednesday, 7 August 2013

--একটি বিতর্কিত পোষ্ট হতে পাবে কিন্তু যারা সত্য তালাশ করে তাদের জন্য সত্য জানার এক রাস্তা--




চরমোনাই পীর ভক্তদের বলছি:::আপনাদের পীরের কৃত্তি দেখে যান। বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিৎ।
তাও কিনা আবার নবী-রাসুলদের মর্যাদা নিয়ে! নবী রাসুলদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন আলেমতো দূরের কথা কোন সাধারন মুসলমানের পক্ষেও এই অদ্ভুত কাহিনী বর্ননা করা মোটেও শোভনীয়
নয়। "চরমনাই এর পীর"-- তার লেখা কিতাব (আশেক মাশুক এর ৮৮-৮৯ page)-এ লিখেছেন, "মুসা (আঃ) এরদিন পথে চলছিলেন, এমন সময় দেখলেন এক রাখাল ধ্যান মগ্ন হয়ে গুন গুন করে বলছেন,'ওগো আল্লাহ,তোমারে যদি পারতাম তাহলে সাবান দিয়া গোসল করাইতাম,মাথার চুল আচড়াইয়া দিতাম,আতর সুরমা লাগাইয়া দিতাম..." এইসব কথা শুনে মুসা (আঃ) তাকে ধমক দিয়ে বললেন,'কিসব আজেবাজে কথা বলছ!এসব শিরকি কথা!' রাখাল ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেল। তখন আল্লাহ (নাকি!) মুসা (আঃ) কে ডাক দিয়ে তিরষ্কার করলেন এবং জানালেন রাখালের কথায় তিনি (নাকি!) সন্তুষ্ট ছিলেন! মুসা (আঃ) নবুয়াত হারানোর ভয়ে সেই রাখালকে খুঁজে বের করে তার
কাছে মাফ চাইলেন। তখন রাখাল জানালো সে নাকি সিরাতুল মুন্তাহা পার হয়ে আরশের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ মুহূর্তে তাকে বাধা দিয়ে আল্লাহর দীদার হতে বঞ্চিত করেছেন।" এই ঘটনা উল্ল্যেখ করার
পরে চরমনাইয়ের পীর সাহেব বলেছে,"হে মুমীন ভাই সকল! এখন বুইঝালন যে, মুর্খ লোক মারেফতের
উপরের দরজায় পৌছাতে পারে কিনা এবং ইহাও খেয়াল করুন যে মারেফতের রাস্তা কত গোপন আর কঠিন, যেখানে মুসা (আঃ) এর মতন নবীও সেই রাখালের অবস্থা বুঝতে পারেন নাই!" দেখুন,কি করে একজন রাখালকে মুসা (আঃ) এর উপরে প্রাধান্য দিলেন চরমনাইয়ের পীর সাহেব!!মারেফতের
নামে ভন্ডামির দ্বার উন্মুক্ত করে! অথচ নবী রাসুলরা হলেন যার যার যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ! আর মুসা (আঃ)
হলেন"উলুল আযমী মিনার রাসুল"(৫জন শ্রেষ্ঠ রাসুল) দের মাঝে একজন। এই যদি হয় কথিত হাক্কানি পীরদের লিখিত কিতাবের অবস্থা! তাহলে বাকি পীরদের কি অবস্থা!!

**পর্যালোচনাঃ প্রথমত ঘটনাটি বানোয়াট! নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এইসব মিথ্যের আশ্রয়
নেন তারা। জনাব চরমনাইয়ের পীর সাহেবের মতে,মুসা (আঃ) এর অনুসরন করার চেয়ে ঐ রাখালের অনুসরন করাই উত্তম!! কারন মুসা (আঃ) এর কাছে যেগুলো শিরকি কথা রাখালের কাছে সেগুলো আল্লাহকে পাবার কথা! এরই নাম কি মারেফাত? যেখানে মুসা (আঃ) এর শরিয়তে যেটা শিরক আর মারেফতের ভন্ডামীর জগতে সেটা মহব্বতের বাক্য!!

**এই ঘটনাতে পীর সাহেব বোঝাতে চেয়েছিলেন যে আল্লাহর নবী রাসুলরাও সেই পর্যাদায় পৌছাতে পারেনা যে মর্যাদাতে একজন রাখাল ও পৌছাতে পারে! মারেফতের নামে ভন্ডামীর মাধ্যমে! অথচ কুরআনে আল্লাহপাক মুসা (আঃ) এর নাম ১৩১ বার উল্ল্যেখ করেছেন, আর পীর সাহেবের ভাষায়
আল্লাহকে পেতে হলে নবী রাসুলদের দেখানো পথ ছাড়াও অন্য পথে যাওয়া যায়। কারন মুসা (আঃ) এর কাছেত সেইগুল শিরকি কথা ছিল, তো শিরকি কথা বলেকি কেউ আল্লাহর দীদার লাভ করতে পারে?
পীর সাহেবে আর শিক্ষা দিয়েছেন, নবী রাসুলদের দেখানো পথে আল্লাহকে পাওয়া যায়না!! তাই তাদের অনুসরনের বদলে পীরদের মারেফতির পথ অনুসরন করাই ভাল! কারন সেই পথেই নাকি আল্লাহকে পাওয়া যাবে!

--আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লে জাম্বে ওয়া তুবহে এলাইহি--

Monday, 5 August 2013

Liquid trace minarel water

Kae Bullock

LIQUID TRACE MINERALS ... .. ionic - organic - easily absorbable.
Powerful, health-giving mineral and trace mineral supplement
formulated by nature for greater bioelectric health and body mineral balancing
As the quality of our water supply continues to deteriorate, more and more consumers are looking to reverse osmosis to remove all contaminants from their water supply to ensure good health. This concern is further aggravated by the decision by some authorities to include fluoride in their local water supply. As well, I speak to Australians every day who have been tested for high levels of copper and have an urgent need to drink totally pure water.


With 20 years involvement in the health industry I am very much aware of the need for minerals for good health and strong bones. The past months has seen an 500% increase in Purestream's reverse osmosis sales with more and more people eliminating all minerals from their drinking water. Add to this modern food processing techniques and minerally depleted soil, I believe there is an urgent need to replace these important body building minerals without the fluoride or copper.

I am therfore delighted to be able to offer Purestream customers access to a high quality, naturally harvested, not manufactured, mineral supplement, to replenish your body with the important nutrients that it may be lacking... more importantly, one that can be easily integrated into your daily food intake..

CMD (also marketed as ConcenTrace®) is a liquid mineral supplement concentrated and balanced for greater energy, vitality and well-being. Harvested from the pristine waters of the north shore of Utah's Great Salt Lake, ConcenTrace® contains a natural balance of 72 verified minerals and trace minerals but without the sodium. Best of all, the minerals and trace minerals in ConcenTrace® are contained in ionic form, one of the most widely utilized forms of minerals in the body. 

Twenty drops once or twice daily provide the body with the important minerals it needs to support general health and well-being
Add 20 drops per 4 litres of water, or two drops per glass of any drink.
Add 5 - 10 drops to your food
High in Magnesium which is helpful in preventing migraine headaches.
.
Trace organic minerals
120 mls
3 mths supply 
$40
Use ConcenTrace® as a daily supplement to obtain your full spectrum of minerals and to assist in maintaining your IMMUNE SYSTEM. 
Some examples of minerals included are:
Calcium
needed for blood clotting, nerve cell communication, and muscle movement. Most known for its role in preventing osteoporosis, calcium is also useful in the treatment of gingivitis, high blood pressure, high cholesterol, kidney stones, migraines, pregnancy and PMS.
Magnesium:
required for bone development and maintenance (aids the uptake of calcium), vital in muscle function including the heart muscle, essential for healthy nerve transmission; involved in hundreds of enzyme reactions.
Potassium
important for healthy nervous system and regular heart rhythm; works with sodium to control the body’s acid-alkaline water balance.
Zinc
essential for taste, smell, wound healing, sexual functioning, protein synthesis,fight free radicals which are known to be cancer causing; effective in delivery of vitamins.
Selenium
vital antioxidant, seriously lacking in many SOIL environments.
The minerals Calcium, Magnesium, Potassium, Sodium, Selenium and Zinc are needed for proper metabolism of food into energy for our cells’ requirements.

Sunday, 4 August 2013

কিছূ ব্যবসার ধারনা শেয়ার করলাম

ব্লক বাটিক
এই কনটেন্টটিতে ব্লক বাটিক-এর বর্ণনা রয়েছে।
বই বাঁধানো
ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা, অফিস-আদালত, ব্যাংক সবখানেই হিসাবের খাতাসহ নানান ধরনের বই ও প্রকাশনা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এসব প্রকাশনাগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য বাঁধাই করার প্রয়োজন হয়। বই বাঁধাই না করলে এটি সহজে ছিঁড়ে যায়। মোটামুটি সব মৌসুমেই বই ও খাতা বাঁধানোর কাজ চলে। বই বাঁধানো শিখে যে কোনো ব্যক্তি সহজে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ড্রাইভিং
আমাদের দেশে অনেক মানুষ গাড়ি চালানো বা ড্রাইভিং পেশার মাধ্যমে আয়-রোজগার করে। ড্রাইভিং শিখতে হলে গাড়ির বিভিন্ন অংশ ও যন্ত্রপাতি চিনতে হয়। ট্রাফিক আইন জানতে হয়। ড্রাইভিং শেখার বিষয়গুলো সহজভাবে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। বিষয়গুলো জানা থাকলে খুব সহজে ড্রাইভিং শেখা যাবে।
শ্যালো মেশিন সারানোর ক্ষুদ্র পেশা
ছোটখাটো অনেক কারণে শ্যালো মেশিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শেলো মেশিন সারানো তাই বেকার যুবকরা পেশা হিসেবে নিতে পারে। অল্প পুজিঁর এই পেশায় লাইসেন্স দরকার হয় না। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং এসওএস ট্রেনিং সেন্টারে এই সংক্রান্ত ট্রেনিং পাওয়া যাবে। শ্যালো মেশিন, ট্রেনিং এবং দরকারি জিনিস সম্পর্কে এই ভিডিও কনটেন্টি হতে জানা যাবে।
চক তৈরি ব্যবসা
চক হচ্ছে একটি অতি পরিচিত পণ্য। এর বাজার কমবেশি সবখানেই আছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা গ্রামের বাজার কিংবা শহরের পাইকারি দোকানদারদের কাছে চক বিক্রি করে। খুচরা বিক্রি তেমন লাভজনক নয়। অধিকাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিজেদের তৈরি চক নিজেরাই বিক্রি করে। বাজারে চকের দাম মোটামুটি নির্দিষ্ট থাকে। দাম খুব বেশি উঠা-নামা করে না। তবে বিক্রির আগে কয়েকজন পাইকারের কাছ থেকে দাম যাচাই করে নেয়া উচিত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তৈরি চক বিক্রি করা সম্ভব।
ব্যবসার তথ্য বুদ্ধি ও পরামশ
আপনি কি ব্যবসা শুরু করতে চান? অথবা তা বড় করতে চান?ব্যবসা শুরুর এবং ব্যবসা পরিচালনার সব রকম তথ্য রয়েছে এই ওয়েব সাইট এ-www.byabsharkhobor.com। উদ্যোক্তাদের সুবিধার জন্য রয়েছে ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন বাংক বা এনজিও, জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ঠিকানা, সবোর্চ্চ ঋণ প্রদানের পরিমান, সুদের হার, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা, কিস্তির পরিমান ইত্যাদির তথ্য। বাংলাদেশের তৃণমূল এলাকার উদ্যোক্তারা এর মাধ্যমে তাদের বব্যসা শুরু করতে পারেন।
মেলামাইন বোর্ডে ফার্নিচার তৈরি
কাঠের বিকল্প হিসেবে মেলামাইন বোর্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দামে কম, বহন সহজ, রুচিশীল এবং দেখতে সুন্দর হওয়ায় মানুষ এখন এ ধরনের অসবাবপত্রের দিকে ঝুঁকছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এটা একটি লাভজনক ব্যবসা। মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহীদের জন্য এই ভিডিও কনটেন্টটিতে মেলামাইন বোর্ডের দ্বারা আসবাবপত্র তৈরির কয়েকটি পদ্ধতি দেয়া আছে।

চেয়ারের গদি ঠিক করা
বাসাবাড়ি বা অফিসে সর্বত্র গদি চেয়ারের ব্যবহার বাড়ছে। তাই গদি চেয়ার সারানো একটি ক্ষুদ্রব্যবসা কিন্তু লাভজনক ব্যবসা। দু’তিন জন কর্মচারী নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করলে সরকারি লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। এ ব্যবসায় বেশকিছু যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল দরকার হয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করলে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন যা সিটি কর্পোরেশন হতে সংগ্রহ করা যাবে। গদি ঠিক করার ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য এই কনটেন্টিতে পাওয়া যাবে।
কাঠের টেবিল তৈরি
স’মিলগুলোতে প্রচুর পরিমাণ বাতিল কাঠ বের হয় যেগুলো দিয়ে কাঠের টেবিল তৈরি করা যেতে পারে। এসমস্ত কাঠ দিয়ে অনেক ধরনের ছোট ছোট আসবাবপত্র তৈরি করা যায়। কম দাম এবং সহজে বানানো যায় বলে এই ব্যবসা খুবই লাভজনক হতে পারে। তাছাড়া এই ভিডিও কনটেন্টটিতে কাঠের টেবিল তৈরিতে যে সকল জিনিস লাগে এবং সাইড কাঠ দিয়ে টেবিল বানানোর পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাওয়ার টিলার
বর্তমানে আমাদের দেশে গরু-লাঙলের পরিবর্তে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। ছোটখাটো অনেক কারণে পাওয়ার টিলার মেশিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাওয়ার টিলার মেশিন সারানো তাই বেকার যুবকরা পেশা হিসেবে নিতে পারে। অল্প পুঁজির এই পেশায় লাইসেন্স দরকার হয় না। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং এসওএস ট্রেনিং সেন্টারে এই সংক্রান্ত ট্রেনিং পাওয়া যাবে। পাওয়ার টিলার মেশিন সারানো ট্রেনিং এবং দরকারি জিনিস সম্পর্কে এই ভিডিও কনটেন্ট হতে জানান যাবে।
কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা
স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা এর মধ্যে অন্যতম। পুঁজি বেশি থাকলে যে কোনো ব্যক্তি কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, শো-পিস, সৌখিন পণ্য ইত্যাদি তৈরি এবং কাঠের আসবাবপত্র বিক্রি করা উভয়ই ব্যবসা হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় এ ধরনের ব্যবসায়ীরা কাঠমিস্ত্রিদের কাছে অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র বানিয়ে দোকানে এনে বিক্রি করে থাকে।
কাঠের ব্লক তৈরি ও ব্যবসা
“কাপড় ছাপানোর জন্য কাঠের ব্লক ব্যবহার করা হয়। শাড়ি, জামা-পায়জামা, টেবিল ক্লথ, টিভির পর্দা, বিছানার চাদর ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরনের ব্লক ডিজাইন করা হয়। মানুষের রুচি পরিবর্তনের সাথে সাথে নিত্য নতুন ডিজাইনের চাহিদা দেখা দিচ্ছে। তাই নিত্য নতুন ডিজাইনের কাঠের ব্লক তৈরিকে পেশা হিসেবে নিয়ে যে কোনো ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এক রঙা কাপড়ে বিভিন্ন ডিজাইন ও বিভিন্ন রঙের ছাপ দিয়ে কাপড়টিকে আরো সুন্দর করে তোলা হয়। এই ছাপ দেওয়ার জন্য ডাইস প্রয়োজন। ডাইসগুলো কাঠের তৈরি হয়। ছোট ছোট কাঠের মধ্যে খোঁদাই করে এ ডাইস তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ডিজাইন ও সাইজের ব্লক ডাইস তৈরি ব্যবসা করে যে কোনো ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারেন।”

ব্যানার ও সাইনবোর্ডের দোকান
ব্যানার মূলত স্বল্প সময়ের অধিবেশন ও স্বল্পকালীন তথ্য প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই ব্যানার সাধারণত কাপড়ের উপর বিভিন্ন রং দিয়ে লেখা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত, দোকান প্রভৃতির সামনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন নির্দেশ ও নানান দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়। সাইনবোর্ড সাধারণত বেশি সময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এ কারণে সাইনবোর্ডে লেখার জন্য অ্যালুমিনিয়াম, টিন, স্টিল বা কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গুঁড়ামসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ
উন্নত উপায়ে বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়া করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজটি দ্রুত ও ঝামেলাহীনভাবে শেষ করার জন্য বর্তমানে বাটা মসলার জায়গায় গুঁড়া মসলার ব্যবহার বাড়ছে। এর মধ্যে জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা ইত্যাদি অন্যতম। কাঁচামাল ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মেশিনে গুঁড়া করে উন্নত উপায়ে প্যাকেটজাত করতে পারলে এ ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।
তরল সাবান তৈরির ব্যবসা
লিকুইড ডিসওয়াশ বা তরল সাবান দিয়ে থালাবাসন ধোয়া খুব সহজ। অল্প পরিমাণ তরল সাবানে অনেক ফেনা হয় এবং সহজেই থালা বাসন পরিষ্কার হয় বলে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। অনেক বাড়িতেই এখন থালাবাসন ধোয়ার জন্য তরল সাবান ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়া শেষে প্লেট, গ্লাস, চামচ ইত্যাদি ধোওয়ার জন্য তরল সাবান ব্যবহার করা হয়।
সাবান
পরিষ্কার থাকার জন্য এবং সব কিছু পরিষ্কার রাখার জন্য সাবান খুব প্রয়োজন। সাবান আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। প্রতিদিন নানান কাজে আমরা সাবান ব্যবহার করি। সাবান হল তেল-চর্বি ও ক্ষার মিশ্রিত এক ধরনের কঠিন পদার্থ যা পরিষ্কার থাকার জন্য এবং সবকিছু পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সবারই প্রতিদিন সাবানের দরকার হয়।
প্যাকেজিং ব্যবসা
গ্রাম বা শহর সব জায়গার শাড়ি, জুতা, মিষ্টি, খাবার প্রভৃতির দোকানে প্যাকেট দরকার হয়। ভালো প্যাকেজিং ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সম্ভব হয় না। উন্নতমানের প্যাকেজিং বাক্স তৈরি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী বাজারজাত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়। যেমন- শাড়ির বাক্স, জুতোর বাক্স, মিষ্টির বাক্স, বিরিয়ানীর বাক্স ইত্যাদি। মোটা, শক্ত কাগজ দিয়ে এসব প্যাকেট তৈরি করাকে প্যাকেজিং বলা হয়।
ধান ভাঙানোর মিল
ধান ভাঙানোর মিল কনটেন্টটিতে চালের মিল -এর ব্যবসা কীভাবে শুরু করা যায়, ব্যবসা শুরু করার জন্য কোথায় প্রশিক্ষণ নেওয়া যায় , এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সেই বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে ।

গোলাপজল
সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গোলাপজলের চাহিদা বেশি থাকে। গোলাপজল তৈরি করে মুদি ও মনোহারী দোকানে পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গোলাপজল বিক্রি করা সম্ভব। বাজারের যে স্থানে লোকসমাগম বেশি হয় সেখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকান দিয়ে গোলাপজল বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া মাজারের আশেপাশের দোকানে গোলাপজল বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
চায়ের দোকান
“অল্প পুঁজি দিয়ে ছোটখাটো যেসব ব্যবসা করা যেতে পারে চা’র দোকান এর মধ্যে অন্যতম। পরিবারের যে কোনো বয়সের ব্যক্তি চা’র দোকান চালাতে পারে। চা-এর দোকানে বিস্কুট, কলা, কেক, পাউরুটি ইত্যাদিও বিক্রি হতে দেখা যায়। খুব ছোট আকারেও এ ব্যবসা শুরু করা যায়। যে কোনো স্থানেই চা-এর দোকান করা সম্ভব। তবে রাস্তার মোড়ে হলে ব্যবসা ভালো চলে। এছাড়া অনেক লোকসমাগম ঘটে এমন যে কোনো জায়াগাতে চা-এর দোকান গড়ে তোলা যেতে পারে। অনেক সময় বড় রাস্তার পাশে দোকান দিলে ভালো জমে উঠে।”
খাবারের দোকান বা হোটেল
হোটেল বা খাবারের দোকান এমন স্থান যেখানে টাকার বিনিময়ে খাবার পাওয়া যায়। ঘরের বাইরে থাকলে, ভ্রমণকালে, অফিস থেকে বাসা দূরে হলে এবং সময় বাঁচাতে হলে অল্প খরচে পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিকর খাবার নিদির্ষ্ট সময়ে নিয়মিত হাতের কাছে পাওয়াটা কঠিন ব্যাপার। হোটেল বা খাবারের দোকান এই সমস্যার সমাধান করে দেয়।
মোমবাতি
“দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে মোমবাতি অন্যতম। অল্প খরচের মধ্যে আলো পেতে মোমবাতি খুবই উপকারী পণ্য। কাঁচামাল হিসেবে প্যারাফিন ব্যবহার করে খুব সহজে মোমবাতি তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় সময়ে আলো দানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, এমনকি শো পিস হিসেবেও নানা রং ও আকৃতির মোমবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন আকৃতির নকশা করা নানা রঙের মোমবাতির চাহিদা মূলত শহরেই বেশি দেখা যায়। এ জাতীয় মোমবাতি শহরের সৌখিন পণ্য বিক্রির দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে।”
হাঁস-মুরগির খাদ্য তৈরি
“গ্রাম বা শহর সব জায়গার শাড়ি, জুতা, মিষ্টি, খাবার প্রভৃতির দোকানে প্যাকেট দরকার হয়। ভালো প্যাকেজিং ছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি সম্ভব হয় না। উন্নত মানের প্যাকেজিং বাক্স তৈরি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা যেতে পারে।বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বাজারজাত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়। যেমন- শাড়ীর বাক্স, জুতোর বাক্স, মিষ্টির বাক্স, বিরিয়ানীর বাক্স ইত্যাদি। মোটা, শক্ত কাগজ দিয়ে এসব প্যাকেট তৈরি করাকে প্যাকেজিং বলা হয়। ”

কাগজের ব্যাগ উৎপাদন
যে কোনো পণ্য উৎপাদনের পর তা প্যাকেটজাত করে ক্রেতা বা ব্যবহাকারীর কাছে পৌঁছে দিতে হয়। পরিবেশবান্ধব ও দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা যায় বলে প্যাকেটজাতকরণে কাগজের ব্যাগ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ এখন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। আগে যেখানে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করা হত বর্তমানে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কাগজের ব্যাগ। নানান রকম কাগজ দিয়ে কাগজের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। কাগজের ব্যাগ তৈরি করে স্থানীয় দোকানগুলোতে তা সরবরাহ করা যাবে
আগরবাতি
আগরবাতির চাহিদা প্রায় সারাবছরই থাকে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি উপাসনালয়ে বা বাড়িতে পূজা বা মিলাদে আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সুগন্ধি হিসেবে এখন অনেকে প্রতিদিন ঘরে বা দোকানেও আগরবাতি ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাজার, থানা শহর অথবা উপজেলা শহরে আগরবাতি বিক্রি করা যায়। পাইকারি হিসেবে দোকানদারদের কাছে অথবা খোলা বাজারে বা হাটে খুচরাভাবে ক্রেতাদের কাছে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব। সবচেয়ে বেশি বিক্রি করা যায় মাজারের কাছে। এছাড়া বিভিন্ন উপাসনালয়ে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব।
কাগজের খাম তৈরি
সাধারণত খামে করে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজের জরুরি কাগজপত্র ও চিঠিপত্র পাঠানো হয়। এছাড়া নববর্ষ, ঈদ, পূজা, হালখাতা, সেমিনার, বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদির দাওয়াতপত্র ও শুভেচ্ছা কার্ড বিভিন্ন রকম খামে ভরে পাঠানো হয় । তাই খামের চাহিদা সব সময় থাকে। বিভিন্ন মাপের খাম তৈরি করে অফিস-আদালত ও স্টেশনারি দোকানে সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব।
কাপড় সেলাই/দর্জি
“সাধারণভাবে পোশাক বলতে সেলাই করা কাপড়কেই বুঝানো হয়ে থাকে। বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সৌখিন নারী-পুরুষেরা বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় পরার প্রতি আগ্রহী। তাই পোশাক কেনার পাশাপাশি তারা দর্জির কাছ থেকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মাপ ও ডিজাইন দিয়ে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে নেয়। এ কারণে কাপড় সেলাই বা দর্জির চাহিদা সব সময়ই থাকে। কাপড় সেলাই শুরুর আগে দক্ষতা অর্জন করা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই কাপড় কাটা ও সেলাইয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে।”
ছবি বাঁধানোর ব্যবসা
ছবি বাঁধিয়ে রাখার মূল উদ্দেশ্য হল দৃষ্টি আকর্ষণ, গৃহসজ্জা ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ। ছবি বাঁধানো এখন একটি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। সারাদেশে অনেক মানুষ এই পেশার সাথে যুক্ত আছে। মানুষ দিন দিন তার গৃহসজ্জার প্রতি সচেতন হয়ে উঠছে। ফলে এর অংশ হিসেবে বাড়ছে ছবি বাঁধাই-এর কাজ। বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের ফ্রেমে এখন ছবি বাঁধাই করা হচ্ছে।
স্ক্রিন প্রিন্ট
ব্লক প্রিন্ট, বাটিক, টাই-ডাই ইত্যাদির পাশাপাশি বর্তমানে কাপড় ছাপার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে স্ক্রিন প্রিন্ট। স্ক্রিন প্রিন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল শুধু কাপড়ই নয়, কাগজেও ছাপা বা প্রিন্ট করা যায়। স্ক্রিন প্রিন্ট এক ধরনের ছাপার পদ্ধতি। স্ক্রিন প্রিন্ট অনেকদিন আগে থেকেই ছাপার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয়।
সেমাই তৈরি
“সেমাই খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। ছোটবড় সবাই সেমাই খেতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ঘরে ঘরে সেমাই রান্না করতে দেখা যায়। বিভিন্ন ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবে খাবার হিসেবে সেমাই-এর ব্যবহার রয়েছে। গ্রাম বা শহর সব জায়গাতেই ছোটবড় সবার কাছে সেমাই-এর কদর রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে উন্নতমানের সেমাই তৈরি হচ্ছে এবং এগুলো বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হচ্ছে।”
ডিজিটাল ষ্টুডিও
এখানে ডিজিটাল স্টুডিও ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা, ব্যবসা শুরুর পরামর্শ, মূলধন-আয় ব্যয়ের সম্ভাব্য হিসাব ও বাজারজাতকরন ও পরিচালনা সম্পর্কিত টিপস দেয়া হয়েছে।
পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ব্যবসা
দৈনন্দিন জীবনে অব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করে যে কেউ ব্যবসা করতে পারে। ব্যবসা করতে হলে প্রাথমিকভাবে দুটি মেশিন লাগবে। গ্রীন পিপি, সাদা পিপি, ব্লু পিপি, লাল পিপি, প্যারস্যুট, প্রাণ ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাস্টিক সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হবে। লাভজনক এ ব্যবসাটি করার ক্ষেত্রে সকল ধরনের বিষয় এ কনটেন্ট হতে জানা যাবে।
ভ্যান-এ শাকসবজি
বিক্রেতারা ভ্যান-এ করে প্রয়োজনীয় শাকসবজি মানুষের বাড়ি বাড়ি নিয়ে বিক্রি করে। এর ফলে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় শাকসবজি যেমন ঘরে বসেই কিনতে পারে তেমনি এটিকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষও ব্যবসা করার সুযোগ লাভ করে। আগ্রহী যে কেউই অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা বাজারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত একটু কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারে। কারণ বাজারের ঘর ভাড়া দিতে হয় না।
দুধের দোকান
“দুধের দোকানের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। সাধারণত বিকাল বেলাতেই দুধের দোকানের ব্যবসা ভালো জমে। চা-এর দোকানের মতো দুধের দোকানেও একটি চুলায় দুধ জ্বাল হয় এবং ক্রেতারা একটি নিদির্ষ্ট দামে দুধ কিনে খায়। আবার অনেক সময় কাঁচা দুধও বিক্রি হয়, সেক্ষেত্রে ক্রেতাকে প্রতিদিন একটি নিদির্ষ্ট সময়ে দোকানে আসতে হয়। গ্রামে-গঞ্জে বা শহরে অনেক জায়গাতেই আজকাল দুধ বিক্রির দোকান দেখা যায়। বাজারে প্রচলিত পানীয় থেকে দুধ অনেক উপকারী। আজকাল দেশে অনেক গরুর ফার্ম তৈরি হয়েছে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে দুধ সংগ্রহ করাও বেশ সহজ। এ হিসেবে দেখা যায় অল্প পরিশ্রমে এবং স্বল্প পুঁজিতে দুধের ব্যবসা বেশ লাভজনক হতে পারে । “
পানের দোকান
“ছোটখাটো নানান ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারেন। পান-সুপারি বিক্রির ব্যবসা এ ধরনের ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। খুব সামান্য পুঁজি দিয়েই এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। পাইকারি দরে পান, সুপারি, জর্দা কিনে পানের খিলি বানিয়ে বিক্রি করাকে পেশা হিসেবে নিয়ে যে কোনো ব্যক্তি উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন। আমাদের দেশে বয়স্ক লোকের কাছে পানের বেশ চাহিদা রয়েছে। রাস্তার পাশে, হাট বা বাজারে, রাস্তার মোড়ে পানের দোকান দেয়া যেতে পারে। “
ফুলের দোকান
“নানান অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়। এই ফুলের জোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান। আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে শীতকালে বিয়ে, গায়ে হলুদ, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে। এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে। ফুলের দোকান দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। বাজারের কেন্দ্র বা যে সব স্থানে লোকসমাগম হয় সে রকম স্থানে ফুলের দোকান দিতে হবে। “
ফলের দোকান
“আমাদের দেশে বেশ কিছু মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। যেমন: আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, জলপাই, কামরাঙ্গা ইত্যাদি। এসব মৌসুমি ফলে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। এসব মৌসুমি ফলের পাশাপাশি সারাবছর যে সব ফল পাওয়া যায় সেসব ফলের প্রচুর চাহিদা থাকে। এসব ফল বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের কাছে বা হাসপাতালের সামনে ফলের দোকান দিলে ব্যবসা ভালো চলবে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় মুদি দোকানের কাছে ফলের দোকান দেয়া যেতে পারে। “
মুদি দোকান
“মুদি দোকান বলতে এমন একটি দোকানকে বোঝায় যেখানে নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনো বেকার নারী বা পুরুষ মুদি দোকানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ভারী কাজে অক্ষম ব্যক্তিরাও ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। মুদি দোকানের যে সব পণ্য বিক্রি করা হয় তার চাহিদা সারাবছরই থাকে। এ ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে। মুদি দোকান মূলত হাটে, বাজারে বা রাস্তার মোড়ে দেখা যায়। অথবা বসতবাড়ির বাইরের অংশে মুদির দোকান দেয়া যেতে পারে। “
স্টেশনারি
বই-পুস্তক, খাতা-কলমের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও। এসব প্রতিষ্ঠানে রেজিস্টার খাতা, পেন্সিল, কলম, ফাইল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। স্টেশনারিতে এই সব প্রয়োজনীয় খাতা, কলম, পেন্সিল, স্কেল ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব উপকরণের চাহিদা সব সময়ই থাকে।

কিছু লিংক

http://infokosh.bangladesh.gov.bd/list.php?category_id=313

http://infokosh.bangladesh.gov.bd/list.php?category_id=313&page=2

http://infokosh.bangladesh.gov.bd/list.php?category_id=313&page=3


Saturday, 3 August 2013

কেন আপনি নিজেই ব্যবসা আরম্ভ করবেন

আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। এছাড়াও ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে হুজুর (সা:) এর অনেক হাদীস রয়েছে, যা বিভিন্ন হাদীস শরীফে লিপিবদ্ধ আছে। একটু কষ্ট করে খুঁজলেই পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের লেখাপড়ার প্রেক্ষাপট চাকুরীর জন্য নির্মিত। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা অবস্থায় অবচেতন মনে চাকুরীর কথা প্রবেশ করানো হয়। নিজের পায়ে দাড়ানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি-এই ধারনাগুলো খুব কমই রয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়।

দেখা গেছে, যাদের পারিবারিকভাবে ব্যবসা রয়েছে তারা ব্যবসায় জড়িয়ে পরছে, আবার এম.বি.এ গ্রাজুয়েটরাও উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির চিন্তা ভাবনা করেন। বাকীরা অধিকাংশই চাকুরীর প্রতি ঝুঁকে পরছে। এভাবে দেশের বিপুল শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান জনসংখ্যা তথা যুবসমাজ যদি চাকুরীর (অন্যের জন্য খেটে মরা!) পেছনে লেগে থাকে, সেক্ষেত্রে দেশের উন্নতির আশা করা খুবই কঠিন ব্যাপার।

সবাই চান সুখে শান্তিতে বসবাস করতে। আর এই চাওয়ার অন্যতম সমাধান হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। চাকুরী এই অর্থনৈতিক মুক্তির স্থায়ী সমাধান নয়। আপনি যেকোন সময় বরখাস্থ হতে পারেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেই? – সে কথা আমি বলছি না। দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে সবাইকেই ব্যবসা করতে হবে সেটাও বলছি না। চাইলেই আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না বা ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যবসায়িক জ্ঞান, মেধা ধৈর্য্য ও ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা।

আপনার বয়স যদি ১৮-৩০ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে ব্যবসার ঝুঁকি নিতেই পারেন। আপনি একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করার মাধ্যমে নিজে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে পা রাখলেন, অন্যের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করলেন, দেশের উন্নতিতে অংশীদার হলেন। আপনি ব্যবসায়ী হওয়ার মনস্থির করে থাকলে আপনাকে কর্পোরেট জগতে স্বাগত জানাচ্ছি।

ব্যবসা অনেক ধরনের রয়েছে। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসাকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ। আমরা এই ক্ষেত্রে মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব। আপনি জানেন বিন্দু থেকেই সিন্ধু হয়। আপনি এখন ব্যবসা শিখছেন। তাই ক্ষুদ্র থেকে আরম্ভ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এটাকে আমরা বলতে পারি Small Enterprise. যেহেতু আপনি ব্যবসা করার মনস্থির করেছেন, সেহেতু এখন প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যবসা নির্বাচন করা। জগতে ব্যবসার অভাব নেই। নিচের লিস্টটি লক্ষ্য করুন।

উপরোক্ত লিস্ট হতে আপনি যেকোন ১টি বা ২টি প্রকল্প আরম্ভ করতে পারেন। ব্যবসা আরম্ভের ক্ষেত্রে কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে। যেমন: আপনি যে ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন সেটি সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে, কি পরিমান বিক্রয় করলে কত লাভ হতে পারে, কেন আপনি লোকসানে পড়তে পারেন, লোকসান নিরূপনের উপায় কি, পরিবহন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মার্কেট পরিসংখ্যান, যারা ইতিপূর্বে এই ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের মতামত, লোন সুবিধা ইত্যাদি। উপরোক্ত লিস্টের যেকোন প্রকল্পের আওতায় আপনি এসএমই (SME) লোন পাবেন। বাংলাদেশে বেশ কিছু ব্যাংক এসএমই (SME) লোন প্রদান করে থাকে। যেমন :-

1. Bank Al-Falah
2. Mutual Trust Bank Ltd.
3. Dhaka Bank Ltd.
4. Merchantile Bank Ltd.
5. Premier Bank Ltd.
6. One Bank Ltd.
7. Janata Bank Ltd.
8. Brac Bank Ltd.
9. City Bank Ltd.
10. Rajshahi Krishi Unnayan Bank
11. IFIC Bank Ltd.
12. Standard Chartered Bank Ltd.
13. Dutch-Bangla Bank Ltd.
14. Bank Asia Ltd.
15. AB Bank Ltd.
16. Industrial & Infrastructure Development Finance Company Limited

উল্লেখিত ব্যাংকগুলোর এসএমই (SME) শাখায় খোঁজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়াও এসএমই (SME) লোনের ব্যাপারে ব্যাংকগুলো কোন সমস্যা করলে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে পারেন। নিচে লক্ষ্য করুন –

জনাব সুকোমল সিংহ চৌধুরী – মহাব্যবস্থাপক – ০১৮১৯৫০২০৯৬
জনাব মো: আশ্রাফুল আলম – যুগ্ন পরিচালক – ০১৭১৪১১০৭৯২
জনাব এসএম মোহসীন হোসেন – যুগ্ন পরিচালক – ০১৭১১৩১৯৫৫৯
জনাব মো: মনিরুজ্জামান সরকার – যুগ্ন পরিচালক – ০১৮১৯৪৮৮৪৬১
জনাব মো: তহিদুল ইসলাম – উপ পরিচালক – ০১৭৩২১৮৩৫১৮

এখন আপনি যদি আমার পরামর্শ চান, তাহলে আমি বলব আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা হচ্ছে রাজকীয়। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা করতে পারেন, সেটা জানতে হলে আপনাকে যেতে হবেhttp://www.alibaba.com/ এ। এখানে আপনি বাম পাশের সাইড বারে অনেক ধরনের ব্যবসা ক্যাটাগরী দেখতে পাবেন। ওখানে যতগুলো লিস্ট রয়েছে ঠিক ততগুলো বা তদোর্ধ্ব ক্ষেত্রে আপনি আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা করতে পারেন। বেছে নিন আপনার পছন্দেরটি, আর নেমে যান নিজের ব্যবসায়।

আমি নিজে পোষাক, পাটজাত দ্রব্য ও কেমিক্যাল ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসা আরম্ভ করতে হলে প্রথমেই আপনাকে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। যেমন: আপনার দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, ব্যাংকে কোম্পানির নামে কারেন্ট এ্যাকাউন্ট, ভ্যাট সনদ, চেম্বার অফ কমার্স সনদ, ইনকর্পোরেটেড সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ট্রেডমার্ক সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), এক্সপোর্ট সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইমপোর্ট সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ইত্যাদি। একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল’য়ার (উকিল/আইনজীবী) এর সাথে আলাপ করে আপনি কাগজপত্রগুলো করতে পারেন।

বিদেশী বায়ারদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেhttp://www.alibaba.com/অন্যতম। এছাড়াও আরো রয়েছেhttp://www.made-in-china.com/,http://www.indiamart.com/,http://www.dhgate.com/,http://www.globalsources.com/,http://www.ecplaza.net/,http://www.exportpages.com/,http://www.taiwantrade.com.tw/,http://www.tradekey.com/http://www.ec21.com/. কর্পোরেট জগতে প্রোফেশনালদের সাথে যোগাযোগের জন্য আমার পছন্দ হচ্ছেhttp://www.linkedin.com/. এছাড়াও রয়েছেhttp://www.xing.com/,http://www.ryze.com/,http://www.econnect.entrepreneur.com/,http://www.biznik.com/ ইত্যাদি।

বায়ারদের ইমেইল আইডি ও ফোন নম্বর খুঁজে বের করে যোগাযোগ করতে থাকুন। অনলাইনে নিজের প্রোডাক্ট আপলোড করুন। এক্ষেত্রে আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারেhttp://www.behance.net/. আপনার কোম্পানীর প্রোফাইল তৈরী করে রাখুন, প্রোডাক্ট ক্যাটালগ/ব্রাউচার করুন। সবসময় ভিজিটিং কার্ড সঙ্গে রাখুন। মোবাইল ফোন ২৪ ঘন্টা চালু রাখুন। স্কাইপে, জিটক, ইয়াহু মেসেঞ্জার ও এমএসএন মেসেঞ্জারে আইডি খুলে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় সকল তথ্যাদি দিয়ে যদি আপনি আপনার কোম্পানীর জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলেন।

আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো কিছুটা হলেও আপনাদের কাজে লাগবে। তাহলে আজই কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করুন। যারা পোষাক, পাট শিল্প ও কেমিক্যাল ব্যবসায় বিনিয়োগ (Invest) করতে চান তারা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমি সবসময়ই নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী। কেউ যদি মনে করেন আমার দ্বারা আপনার কোন কাজ/সুফল হবে তাহলে জানাতে বিলম্ব করবেন না। আমি সবসময়ই তৈরী, ইনশাআল্লাহ।

আমার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমসমূহ :-
ই-মেইল : stareon.ltd@live.com, stareongroup@gmail.com
স্কাইপে : stareongroup
ফেসবুক : http://www.facebook.com/mahedi.info
http://www.facebook.com/Stareon.Group
টুইটার : http://www.twitter.com/StareonGroup
লিংকডইন :http://www.bd.linkedin.com/in/stareongroup
http://www.linkedin.com/company/stareon-group
আলিবাবা :http://www.alibaba.com/member/bd1001790955.html
http://www.alibaba.com/member/bd1008705388.html
http://www.alibaba.com/member/bd1011469752.html
ব্লগ :http://www.askstareonforclothing.blogspot.com/

Tuesday, 30 July 2013

মানুষের ১০ আচরণ


মানুষের ১০ আচরণের কার্যকারণ আবিষ্কার
মানুষের মধ্যে বুদ্ধির তাড়না বা বিবেকের দংশন যেমন আছে তেমনি নিজের বা অপরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন প্রবৃত্তিও লুকিয়ে আছে। মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা এসব নেতিবাচক এবং ধ্বংসাত্বক প্রবৃত্তির জন্য কে দায়ী আর মানুষই মধ্যে ভালো এবং খারাপের এই সহাবস্থান কেনো সেই অজানা তথ্যই বের করতে পেরেছেন গবেষকরা। গবেষকদের দেয়া তথ্য নিয়ে সম্প্রতি মানুষের ধ্বংসাত্মক কাজের পেছনে লুকানো গোপন সেই শত্রুর পরিচয় প্রকাশ করেছে লাইভ সায়েন্স অনলাইন । মানুষের ধ্বংসাত্মক সেই ১০ টি আচরণ নিয়েই এবারের ফিচার।
গল্পবাজি
গবেষকেরা দাবি করেছেন, বিবর্তন প্রক্রিয়ার ফলেই মানুষ অন্যের সঙ্গে গালগল্প করতে এবং একে অন্যের খুঁত বের করে অভ্যস্ত। মানুষের মধ্যে একে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানোর এই প্রক্রিয়াটা বিবর্তন প্রক্রিয়ায় আসার ফলে এই ঘটনায় মানুষের মধ্যে কোন দুঃখবোধ জাগে না।

গবেষক রবিন ডানবার জানিয়েছেন, ‘বেবুনদের একে অপরের লোম বেছে দেবার মতো আচরণগুলোকে সামাজিক বন্ধন শক্ত করার উপায় বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই আচরণের আরও বেশি বিবর্তন ঘটেছে, তাই আমরা একে অপরের সমালোচনায় ঘন্টার পর ঘণ্টা আঠার মত লেগে থাকতে পারি। এই আচরণ গুলো সবাই জন্মের পর কোন না কোন ভাবে অন্যের কাছ থেকে শেখে।’

গবেষণায় আরও জানা গেছে, মানুষ গল্পবাজ হবার কারণেই মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। তখন বিভক্ত মানুষ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কাজ করে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সমালোচনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সঠিকভাবে সত্যকে তুলে আনার উদ্দেশ্য থকে না। এতে কেবল সমালোচনা বা দোষ ধরার জন্যই সমালোচনা করা হয়। সমালোচনায় নানা বিষয় বানিয়ে যেমন বলা হয়, অনেক সময় তৃতীয় কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েও কেউ কেউ এমন গর্হিত কাজটি করে মানুষ।
জুয়া, বাজি ধরা
গবেষকরা জানিয়েছেন, জুয়া বা বাজি ধরার বিষয়টিও আমাদের জিনগত। আমাদের নিউরনের মধ্যেই খেলে বেড়ায় জুয়া বা বাজি ধরার মতো নেতিবাচক কাজের উপলক্ষ্য। গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, বানরেরাও বাজি ধরতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য জুস পাবার আশায় তারা তাদের হাতের কাছে থাকা ভালো খাবার ছেড়ে দিতে প্রস্তুত থাকে। নিউরন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার ভেতরকার জিতে নেওয়া সম্পর্কিত সার্কিট কোন কিছু জিতে নেবার প্রেরণা হিসেবে কাজ করে বা জিতে নেবার ইচ্ছা বাড়াতে সহায়তা করে। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষক লুক ক্লার্ক জানিয়েছেন, ‘কোন বিশেষ কারণে জুয়া বা বাজিতে হেরে যাওয়া আরও বেশি করে বাজি ধরতে উষ্কানি দেয়।’

দুশ্চিন্তা
গবেষকরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা হার্টের সমস্যা বাড়ায় এমনকি এর ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি চূড়ান্ত হতাশার কারণে মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করে বসে। আধুনিক জীবনধারণ পদ্ধতিই এর কারণ হতে পারে বলে গবেষকরা আশংকা করছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে ছয় লাখেরও বেশি জনকে সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় কর্মক্ষেত্রে কাটাতে হয়। স্মার্ট ফোন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মতো আধুনিক অনেক প্রযুক্তির কারণে মানুষ কাজ ও বিশ্রামের সময়টুকু আলাদা করে উপভোগ করতে ভুলে যাচ্ছে।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, মানুষের কাজের ধরন ছাড়াও বর্তমানের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের দুশ্চিন্তা।

শরীরে ছিদ্র, ট্যাটু ও নক্সা আঁকা
২০১৫ সালের মধ্যে আমেরিকার শতকরা ১৭ ভাগ মানুষ বিভিন্ন কসমেকিট প্রক্রিয়ায় দেহের বিভিন্ন অংশকে সাজাবে, দেশটির কসমেটিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমন ভবিষ্যতবাণীই প্রচার করা হয়েছে। অন্যদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন, কসমেটিক সার্জারির ফলে মানুষের স্বভাবিক চেহারা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শরীরের নক্সা আঁকা, ট্যাটু করার চর্চা কিবদন্তীর হলেও এত বৈচিত্র্য ছিলো না। আগেকার দিনে গোত্র পরিচয়, ধর্মীয় কারণ, পদ মর্যাদা, ক্ষমতার চিহ্ন হিসেবে লোকে গায়ে ট্যাটু বা বিভিন্ন নক্সা আঁকত। কিন্তু এখন কেবল দেহের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই এটা করা হচ্ছে বলে গবেষকদের মত।

ভয় দেখানো
এক জরিপে দেখা গেছে, স্কুল পড়–য়া শিশুদের অর্ধেকেরই ভয় পাবার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৯-এ ইউরোপের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর কোনো না কোনোভাবে ভয়ের শিকার হয় এমনকি তাদের কম বেশি সবাই আবার নিজের বাড়ি থেকেও ভয় পায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভয়ের এই উৎপত্তি আসলে পরিবার থেকেই।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার ৩০ ভাগ অফিসে বস বা সহকর্মীদের দ্বারা আতঙ্কের শিকার হয়েছেন শ্রমিকেরা। গুজব, চাকরি হারাবার ভয় ছড়িয়ে এই ভয়ের সৃষ্টি করা হয়েছে তাদের মনে।

অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সারাহ ট্রেসি জানিয়েছেন, ‘উচ্ছৃক্সখলতা থেকেই এই ধরনের ভয় দেখাবার মতো আচরণের জন্ম।’

মিথ্যা বলা
মানুষের মিথ্যা বলার কারণও বের করেছেন গবেষকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, মিথ্যা বলার সঙ্গে মনের সম্পর্ক রয়েছে। ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির গবেষক রবার্ট ফেল্ডম্যান জানিয়েছেন, শতকরা ৬০ ভাগ মানুষই কথা বলার সময় প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একটি মিথ্যা কথা বলেন।’ তবে, গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, ‘মিথ্যা বলা কিন্তু ততোটা সহজ কাজ নয়। সত্যি বলার চেয়ে এতে ৩০ ভাগ বেশি সময় লাগে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংসহ ই-মেইলে মিথ্যা বলা হয় সবচেয়ে বেশি।

ধোঁকা দেওয়া
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পো জানিয়েছে, মানুষের বেখাপ্পা আচরণগুলোর মধ্যে ধোঁকা দেওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে আকর্ষণীয়।’ জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজন আমেরিকানের এক জন মনে করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, অথবা তাদের মতে এটা আসলে কোনো নৈতিক বিষয়ই নয়। আর জরিপ মতে, দেশটির দশভাগ লোক কোনো না কোনো ভাবে নিজের বউকেই ধোঁকা দিয়ে বেড়ায় । গবেষণায় দেখা গেছে, উঁচু দরের নৈতিকতা পোষণ করেন এমন লোকেরা আবার জঘন্য এই ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আত্মহত্যাও করেন। তবে এমন শক্ত প্রকৃতির লোকেরাও আবার ঘুরিয়ে হলেও বিশ্বাস করেন, প্রয়োজনীয় মুহুর্তে ধোঁকাবাজি নৈতিকভাবে মেনে নেবার মতো একটি আচরণ।

চুরি করা
কথায় বলে, চুরি বিদ্যা বড়ো বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা। কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন, এই চুরি বিদ্যাটা আসলে বংশগত হবার আশংকাই বেশি। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিজের দরকারের কারণেই কিন্তু চোরেরা চুরি করে। কিন্তু ক্লিপ্টোম্যানিয়াকরা চুরি করে মজা লোটার জন্যে। ৪৩ হাজার মানুষের মধ্যে চালানো এক জরিপের ফল বলছে, তাদের এগারোভাগ কোনো না কোনোভাবে একবারের জন্য হলেও দোকানে গিয়ে চুরি করেছে।

সন্ত্রাস
মানুষের জানা ইতিহাসের মধ্যে সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের খোঁজ পাওয়া যায় হরহামেশাই। গবেষকদের দাবি, জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং প্রাপ্তির অনুভূতি মাথার ভেতর জট পাকিয়ে সন্ত্রাস চালাতে বাধ্য করে। ২০০৮ সালের এক গবেষণার ফল বলছে, মানুষ যৌনতা, খাবার ও ড্রাগস নেবার মতোই সন্ত্রাস করার জন্য ব্যগ্র থাকে। সাইকো ফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, মস্তিষ্কের কিছু কোষ সন্ত্রাস ঘটাবার জন্য ব্যগ্র থাকলেও এর পেছনে আসলে থাকে অন্য কোনো প্রাপ্তির আশা।

টেনেসির ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্রেগ কেনেডি জানিয়েছেন, ‘সকল মেরুদণ্ডীদের মধ্যেই আক্রমণাত্বক আচরণ লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গী, বাসস্থান এবং খাবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আয়ত্তে আনা ও ধরে রাখার জন্য এর সন্ত্রাস চালায় তারা। এজন্য দায়ী ডোপামিন নামের হরমোন।
বদ অভ্যাস
মানুষ অভ্যাসের দাস। গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্রমাগত বদ অভ্যাসের লালন করাটাই বদ অভ্যাস তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখে। অনেক পরিচিত বদ অভ্যাসের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানার পরও লোকজনের পক্ষে তা পুরোপুরি ত্যাগ করা কষ্টকর হয়ে দাড়ায়।

মানুষের বদ অভ্যাসের পেছনে লেগে থাকার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা অবাধ্যতা, সত্যিকারের ঝুঁকি বুঝতে না পারা, এ বিষয়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং আসক্তির ফলেই বদভ্যাসের জন্ম। এর জন্য মানুষের কিছু খারাপ জিনই দায়ী।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/সুমন/মিন্টু/এইচবি/এইচআর/জানুয়ারি ০৪/১১

পাল্টে যাচ্ছে মানুষের স্মৃতির ভবিষ্যৎ


সফটওয়ার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবার ঘোষণা দিলো যে, তারা এমন এক ডিভাইস তৈরি করছে যার মাধ্যমে মানুষের স্মৃতি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধরে রাখা সম্ভব হবে। মাইক্রোসফটের গবেষক গর্ডন বেল গত এক দশক ধরে তার যাবতীয় অভিজ্ঞতা কম্পিউটারে নিয়মিত জমা করে রাখছেন। তিনি মনে করেন, তথ্য ধরে রাখার জন্য এটিই হচ্ছে সবচে নিরাপদ উপায়। খবর সিএনএন অনলাইন এর।

বার্তা সংস্থটির বরাতে জানা গেছে, মাইক্রোসফট ‘সেন্সক্যাম’ নামের স্মৃতিধারণযোগ্য একটি ক্যামেরা তৈরির বিষয়ে কাজ করছে। এই ক্যামেরাটি একজন মানুষের ঘাড়ে সার্বক্ষণিক ভাবে ঝুলে থাকবে এবং জীবনের প্রতিটা বিষয় ছবির মাধ্যমে ধরে রাখবে।

প্রত্যেকেই বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান অথবা নানান কাজে প্রতিদিন প্রচুর ডিজিটাল ছবি তোলেন এবং যথারীতি তা সেভও করে রাখেন। কিন্তু ৭৫ বছর বয়স্ক বেল তার বিভিন্ন আলাপচারিতা, মন্তব্য, ভ্রমণ এবং নানা রকম অভিজ্ঞতা সার্বক্ষণিক তার সাথে থাকা ভিডিও ইক্যুইপমেন্ট, ক্যামেরা এবং অডিও রেকর্ডারের মাধ্যমে ধারণ করে রাখেন।

বেল-এর বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, তিনি তার জীবনের অতি ব্যাপারগুলোও যেমনঃ রেস্টুরেন্টের খরচ, ইলেকট্রিক সহ যাবতীয় অন্যান্য বিল এবং মেডিকেল রেকর্ডগুলো পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করেন। এমনকি তিনি যে সব ওয়েব পেজগুলো ভিজিট করেন তারও পিডিএফ ফাইল করে জমা রাখেন।

তিনি আরো জানিয়েছেন, অডিও ভিডিও সব মিলে পাহাড়সম তথ্যগুলো তিনি জমা করেছেন মোট ৩৫০ গিগাবাইট জায়গাজুড়ে। তিনি এটিকে বলছেন ‘রেপ্লিকা অফ বেল’স বায়োলজিক্যাল মেমোরি’ নামে। তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে স্মৃতি ধরে রাখা খুবই নিরাপদ, কারণ মাথায় থাকা স্মৃতি অনেক সময় নানা কারণে ভুলে বসতে পারেন। কিন’ এই ‘ই-মেমোরি’র মতো স্মৃতিধারণযোগ্য চিপ বিশ্বস্ত সঙ্গীর মতোই সব তথ্য ধারণ করে রাখে এবং কখনও ভুলে যায় না।

তিনি বলেন, এটা আপনার জীবনের মাল্টিমিডিয়া ট্রান্সস্ক্রিপ্টের মতো হয়ে থাকবে।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে আমাদের সারা জীবনের ঘটনাগুলো অনলাইনে থাকবে এবং তা হবে সার্চেবল। শুধু তাই নয়, স্মার্ট ফোন এবং স্বল্প মূল্যের ডিজিটাল মেমোরি কার্ডের কল্যাণে একজন মানুষের সারা জীবনের তথ্যই ইন্টারনেটে থাকবে।’

সিএনএন জানিয়েছে, তার মতে, আর কোনও মানুষকে তথ্য ধারণ করার জন্য মস্তিস্কে চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। এর ফলে মাথা থাকবে সম্পূর্ণ ঝামেলামুক্ত। আর এই উল্লেখযোগ্য বিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন হবে সম্পূর্ণ অন্যরকম।

উল্লেখ্য জিম গেমিলে’র ফেলো রিসার্চার বেল ‘টোটাল রিকল’ নামে একটি বই লিখেছেন যেখানে তিনি ডিজিটাল স্মৃতিধারণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন।

হাতের নাগালে এলো স্মৃতি তৈরির জ্ঞান!

মস্তিষ্ক থেকে যেভাবে স্মৃতি তৈরি হয় তার অন্তত একটি প্রক্রিয়া তারা জানতে পেরেছেন বলেই সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আগে মনে করা হতো, যেখানে মস্তিষ্কের কোষগুলো একটির সাথে আরেকটি যুক্ত সেখানে তথ্য আনা নেয়া আর সংরক্ষণের কাজ করে সিনাপস। কিন্তু জানা গেছে, গবেষকরা এখন বলছেন, অণুগুলো কিভাবে সিনাপসে ঢুকে স্মৃতির সাথে জোট বাঁধে সেটা তারা ধরতে পেরেছেন। এই গবেষণার ফল আলঝেইমার রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরিতে সাহায্য করবে বলে অনুমান করছেন গবেষকরা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্মৃতি গঠনে শক্তিশালী সিনাপসের প্রয়োজন হয়। আর এই প্রক্রিয়ায় নতুন প্রোটিন তৈরির বিষয়টি জড়িত। কিন্তু কীভাবে শরীর এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে সেটি এখনও জানতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারার গবেষকরা ইঁদুর নিয়ে তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, স্মৃতি তৈরিতে যে প্রোটিন উৎপাদন প্রয়োজন তা শুধু আরএনএ (বা রাইবো নিউকিয়িক অ্যাসিড)-এর মাধ্যমে ঘটে। যখন একত্রিত সব অণুগুলো জেনেটিক বার্তা নিয়ে অন্যান্য কোষে পৌঁছে দেয় তখন প্রোটিন উৎপাদন শুরু হয়।

জানা গেছে, যতক্ষণ এই বিষয়টি না ঘটে প্রোটিনযুক্ত আরএনএ কেবলমাত্র নীরব অণুর ভূমিকাই পালন করে এবং অকার্যকর থাকে। কোনো মজাদার ঘটনা বা অভিজ্ঞতার কোনো সংকেত যখন বাইরে থেকে যায় তখন এই নীরব অণু সচল হয়ে আরএনএ-কে মুক্ত করে।

সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এখন ধাঁধাঁর সমাধান হয়েছে। দেখানো গেছে কিভাবে প্রোটিন পতন আর সংশ্লেষ সঙ্গে সঙ্গে ঘটে। প্রোটিন চিহ্নিত করতে মস্তিস্কের প্রয়োজন পড়ে স্মৃতি জোড়া লাগানোর। এই বিষয়টিই রোগীদেরকে সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
 লোভ সামলাতে পারে তরুণ মস্তিষ্ক
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, তরুণ-তরুণীরা সহজেই লোভ সংবরণ করতে পারে। তাদের মস্তিষ্কের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তারা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তরুণ-তরুণীদের মস্তিষ্কে এমআরআই স্ক্যান করে এই ফল পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ অরিগন এর গবেষকরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, দেখা গেছে, মস্তিষ্কের কর্টেক্স অঞ্চলের সামনের দিক থেকেই নির্ধারিত হয় ঝুঁকি গ্রহণ করার বিষয়টি। আর এই তরুণ বয়সেই মস্তিষ্কের কারণেই কোনো বিষয়ের চাপটি তাদের বোধগম্য হয়ে যায়। তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া সন্দেহপ্রবণতা তাদের লোভ সংবরণে উদ্বুদ্ধ করে।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে নিউরন সাময়িকীতে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফল তরুণ-তরুণীর অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দূর করতে পারবে।
মস্তিষ্কের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগ

আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় আচরণের সঙ্গে মস্তিষ্কের কোনো নির্দিষ্ট অংশের সম্পর্ক আছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। ইতালির গবেষকরা দেখেছেন, মস্তিষ্কের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের আধ্যাত্মিকতা বেড়ে যায়। গবেষণার এ বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়েছে ‘নিউরন’ সাময়িকী।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়েছে এমন লোক নিজেকে সেরা মানুষ ভাবতে শুরু করে। আর এটিই তার কাছে আসে অস্পষ্ট আধ্যাত্মিক অনূভূতির আকারে। এমনকি তার আচরণ ও চিন্তার মধ্যেও এই ধরনের অনুভূতি কাজ করে।

গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা ব্যক্তি নিজের অনূভূতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, আর এর ফলে নিজেকে এই পৃথিবীর একজন বলেও তার আর মনে হয় না।

ইউনিভার্সিটি অব ইউডিন এর গবেষক ড. কসিমো আরগেসি জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের সার্জারি করে টিউমার অপসারণের পর অনেক রোগীরই এই রোগের উপসর্গ দেখা গেছে।
নিয়মিত পরীক্ষায় স্মৃতিশক্তি বাড়ে

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিয়মিত পরীক্ষা দেবার ফলে শেখার ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে যায় স্মৃতিশক্তিও। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।

সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, পরীক্ষার উপযোগিতা বিষয়ে গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ মস্তিষ্কের জন্য সুফল বয়ে আনে এবং মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়ায়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলে স্মৃতিশক্তি বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কের দক্ষতা বেড়ে যায় যা পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করতে এবং নতুনভাবে সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফলে মানসিক শক্তি বা ‘মেডিয়েটরস’ বেড়ে যায় । এই মেডিয়েটরস বা মানসিক শক্তি কেবল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। আর তাই নিয়মিত পরীক্ষা দিলে স্মৃতিশক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য মস্তিষ্কে গাঁথা হয়ে যায়।

কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিদ ড. ক্যাথরিন রওসন জানিয়েছেন, পরীক্ষার অনুশীলনের ফলে স্মৃতি হাতড়ে কোনো কিছু খুঁজে বের করার মানসিকতা তৈরি হয় যা পরবর্তীতে আবারো মনে করা সম্ভব হয়।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গবেষণার এই ফল মস্তিষ্কের রোগ চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।
স্মৃতি বুঝতে মস্তিষ্কে স্ক্যান

গবেষকরা জানিয়েছেন, স্মৃতি রোমন্থনরত অবস্থায় মস্তিষ্ক স্ক্যান করে বলে দেয়া যাবে কি ছিল সেই স্মৃতি। আর এই গবেষণা কাজে লাগবে স্মৃতিভ্রম রোগীদের চিকিৎসায়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা স্মৃতি রোমন্থনকারীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করে বের করতে পেরেছেন তার ভাবনার বিষয়টি কি ছিলো।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে।

গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্মৃতি রোমন্থন প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল। এই গবেষকদলটির আগের করা গবেষণার বিষয় ছিলো মস্তিষ্কের স্ক্যান করে সাধারণ চিন্তা প্রক্রিয়া, রঙ, বস্তু বা স্থানের পার্থক্য বের করা সম্ভব। আর বর্তমান গবেষণাটি আগের গবেষণার ফলাফলকে ভিত্তি করেই শুরু হয়েছে।

গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মস্তিষ্কের স্ক্যানের ফলে একজন ব্যক্তি কোন ভার্চুয়াল বাস্তবতার জগতে অবস্থান করছে তাও বলা সম্ভব।

হরেক রকম স্বপ্নে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, নানান রকমের স্বপ্ন আমাদের স্মরণশক্তি বাড়ায় এবং সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বপ্নমাখা একটি ঘুমই জেগে ওঠার পর হারানো তথ্য মনে করিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।

অল্প ঘুমে বিভিন্ন রকম স্বপ্ন দেখার অবকাশ থাকে না বলেই এই রকম ঘুমে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে না। মানুষ যখন গভীর ঘুমে থাকে তখনই মানুষ স্বপ্ন দেখে আর এ পর্যায়ে গুমের মধ্যেই চোখের পাতা নড়ে ওঠে। একে বলা হয় র্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এক রাতে গড়ে ৪ থেকে ৫ বার আরইএম-এর ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু শেষ রাতের দিকে এটি বেশ দীর্ঘ হতে পারে। এর ফলে যারা রাতে সাত-আট ঘন্টার কম ঘুমান তাদের আরইএম কম ঘটে। ফলে তাদের স্মৃতি ধরে রাখার মতো মানসিক শক্তিও কমে যায় বলেই গবেষকদের ধারণা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আরইএম দীর্ঘ ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কহীন। কেবল মস্তিষ্ক যখন গভীর ঘুমের স্তরটি পার করতে পারে তখনই আরইএম স্লিপের পর্যায়টি ঘটে।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ড. সারা মেডনিক জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে অসংলগ্ন হয়ে জমে থাকা স্মৃতি আরইএম-এর মাধ্যমে একত্রিত হয়। আর এ থেকে বিভিন্ন সমস্যা উত্তরণের পথও মেলে। কারণ আরইএম পর্যায়ে বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল পরিবর্তন ঘটে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রতিদিন যে তথ্যগুলো অসলগ্নভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয় সেগুলো একত্রিত করে স্মৃতি গঠন করতে আরইএম স্লিপের প্রয়োজন পড়ে। আর এ পর্যায়ে গঠিত স্মৃতিই পরবর্তী সময়ে আমরা ব্যবহার করি।

অতিরিক্ত জেট ল্যাগে মস্তিষ্ক বিকৃতি!
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত প্লেনে ভ্রমণ করেন বা প্লেনে বিভিন্ন শিফটে কাজ করেন তারা জেট ল্যাগ সমস্যার কারণে মস্তিষ্কের সমস্যায় পড়তে পারেন। খবর গিজম্যাগের।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, শরীরের ২৪ ঘন্টার জৈব রাসায়নিক চক্র সারকেডিয়ান রিদমসে ব্যাঘাত ঘটলে স্মৃতিশক্তিতে এবং কোনো কিছুর শেখার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জেট ল্যাগের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা তৈরি হয়। জেট ল্যাগের কারণে মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে যা স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়।

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘প্লস ওয়ান’ সাময়িকীতে।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, জেট ল্যাগের কারণে স্মৃতিশক্তি তৈরিতে মস্তিষ্কের সমস্যা হয়। এমনকি নতুন বিষয় শেখার ক্ষেত্রেও মস্তিষ্কের কগনিটিভ অংশে অসঙ্গতি দেখা দেয় যা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আমাদের ২৪ ঘন্টার সারকেডিয়ান রিদম নামের দেহঘড়ি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে নতুন করে শুরু হয়। যখন কম সময়েই বিভিন্ন টাইম জোন এর মধ্যে ভ্রমণ করা হয় তখন দেহঘড়ি ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে জেট ল্যাগের সৃষ্টি হতে পারে। জেট ল্যাগের ফলে মস্তিষ্কের অসামঞ্জস্যের পাশাপাশি গ্যাস্ট্রোইনটেনশনাল সমস্যা, ডায়াবেটিক সমস্যা বৃদ্ধি, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার এমনকি সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
গবেষকরা জেট ল্যাগ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ১ দিনের সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেবার পরামর্শ দিয়েছেন। আর যারা রাতের শিফটে কাজ করেন এবং স্বাভাবিক দিনরাতের সিডিউল মেনে চলতে পারেন না তারা আলো বা শব্দ প্রবেশ করতে না পারে এমন ঘরে ঘুমিয়ে জেট ল্যাগ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।