Wednesday, 7 August 2013

--একটি বিতর্কিত পোষ্ট হতে পাবে কিন্তু যারা সত্য তালাশ করে তাদের জন্য সত্য জানার এক রাস্তা--




চরমোনাই পীর ভক্তদের বলছি:::আপনাদের পীরের কৃত্তি দেখে যান। বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিৎ।
তাও কিনা আবার নবী-রাসুলদের মর্যাদা নিয়ে! নবী রাসুলদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন আলেমতো দূরের কথা কোন সাধারন মুসলমানের পক্ষেও এই অদ্ভুত কাহিনী বর্ননা করা মোটেও শোভনীয়
নয়। "চরমনাই এর পীর"-- তার লেখা কিতাব (আশেক মাশুক এর ৮৮-৮৯ page)-এ লিখেছেন, "মুসা (আঃ) এরদিন পথে চলছিলেন, এমন সময় দেখলেন এক রাখাল ধ্যান মগ্ন হয়ে গুন গুন করে বলছেন,'ওগো আল্লাহ,তোমারে যদি পারতাম তাহলে সাবান দিয়া গোসল করাইতাম,মাথার চুল আচড়াইয়া দিতাম,আতর সুরমা লাগাইয়া দিতাম..." এইসব কথা শুনে মুসা (আঃ) তাকে ধমক দিয়ে বললেন,'কিসব আজেবাজে কথা বলছ!এসব শিরকি কথা!' রাখাল ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেল। তখন আল্লাহ (নাকি!) মুসা (আঃ) কে ডাক দিয়ে তিরষ্কার করলেন এবং জানালেন রাখালের কথায় তিনি (নাকি!) সন্তুষ্ট ছিলেন! মুসা (আঃ) নবুয়াত হারানোর ভয়ে সেই রাখালকে খুঁজে বের করে তার
কাছে মাফ চাইলেন। তখন রাখাল জানালো সে নাকি সিরাতুল মুন্তাহা পার হয়ে আরশের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ মুহূর্তে তাকে বাধা দিয়ে আল্লাহর দীদার হতে বঞ্চিত করেছেন।" এই ঘটনা উল্ল্যেখ করার
পরে চরমনাইয়ের পীর সাহেব বলেছে,"হে মুমীন ভাই সকল! এখন বুইঝালন যে, মুর্খ লোক মারেফতের
উপরের দরজায় পৌছাতে পারে কিনা এবং ইহাও খেয়াল করুন যে মারেফতের রাস্তা কত গোপন আর কঠিন, যেখানে মুসা (আঃ) এর মতন নবীও সেই রাখালের অবস্থা বুঝতে পারেন নাই!" দেখুন,কি করে একজন রাখালকে মুসা (আঃ) এর উপরে প্রাধান্য দিলেন চরমনাইয়ের পীর সাহেব!!মারেফতের
নামে ভন্ডামির দ্বার উন্মুক্ত করে! অথচ নবী রাসুলরা হলেন যার যার যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ! আর মুসা (আঃ)
হলেন"উলুল আযমী মিনার রাসুল"(৫জন শ্রেষ্ঠ রাসুল) দের মাঝে একজন। এই যদি হয় কথিত হাক্কানি পীরদের লিখিত কিতাবের অবস্থা! তাহলে বাকি পীরদের কি অবস্থা!!

**পর্যালোচনাঃ প্রথমত ঘটনাটি বানোয়াট! নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এইসব মিথ্যের আশ্রয়
নেন তারা। জনাব চরমনাইয়ের পীর সাহেবের মতে,মুসা (আঃ) এর অনুসরন করার চেয়ে ঐ রাখালের অনুসরন করাই উত্তম!! কারন মুসা (আঃ) এর কাছে যেগুলো শিরকি কথা রাখালের কাছে সেগুলো আল্লাহকে পাবার কথা! এরই নাম কি মারেফাত? যেখানে মুসা (আঃ) এর শরিয়তে যেটা শিরক আর মারেফতের ভন্ডামীর জগতে সেটা মহব্বতের বাক্য!!

**এই ঘটনাতে পীর সাহেব বোঝাতে চেয়েছিলেন যে আল্লাহর নবী রাসুলরাও সেই পর্যাদায় পৌছাতে পারেনা যে মর্যাদাতে একজন রাখাল ও পৌছাতে পারে! মারেফতের নামে ভন্ডামীর মাধ্যমে! অথচ কুরআনে আল্লাহপাক মুসা (আঃ) এর নাম ১৩১ বার উল্ল্যেখ করেছেন, আর পীর সাহেবের ভাষায়
আল্লাহকে পেতে হলে নবী রাসুলদের দেখানো পথ ছাড়াও অন্য পথে যাওয়া যায়। কারন মুসা (আঃ) এর কাছেত সেইগুল শিরকি কথা ছিল, তো শিরকি কথা বলেকি কেউ আল্লাহর দীদার লাভ করতে পারে?
পীর সাহেবে আর শিক্ষা দিয়েছেন, নবী রাসুলদের দেখানো পথে আল্লাহকে পাওয়া যায়না!! তাই তাদের অনুসরনের বদলে পীরদের মারেফতির পথ অনুসরন করাই ভাল! কারন সেই পথেই নাকি আল্লাহকে পাওয়া যাবে!

--আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লে জাম্বে ওয়া তুবহে এলাইহি--

No comments:

Post a Comment