১ম লিঙ্ক,http://www.amarblog.com/M-M-NOUR-HOSSAIN/posts/148573
২য় লিঙ্ক,http://www.amarblog.com/M-M-NOUR-HOSSAIN/posts/148522
শুরু করলাম- বিস্তারিত লিখতে গেলে পোষ্ট বড় হয়ে যায় তাই সংক্ষেপে,
চাদপুর জেলার ঊজানী এলাকার পীর মরহুম ক্বারি ইব্রাহিমের কাছ থেকে ১৯৪৬ সালে খেলাফত লাভ করেন মাওলানা এসহাক। এই মাওলানা এসহাক পরবর্তীতে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা জহুরুল হক ও মাওলানা আব্দুল হাইসহ কয়েক জন সাগরেদ নিয়ে বরিশাল সদর থানার উত্তর পুর্বকোনে কীর্তনখোলা নদীর তীরে চর মোনাই দরবার গড়ে তূলেন। ১৯৭৩ সালের মৃত্যুও আগ পর্্যমন্ত অনেক ভক্ত-আশেকান সৃষ্টির মাধ্যমের পীর ব্যবসায় প্রতিষ্টিত হন। মাওলানা এসহাকের জীবদ্দশায় বর্তমান পীর ( মাওলানা এসহাকের বড় ছেলে) ফজলুল করিমকে বেশী দেখা না গেলেও মৃত্যুর পর তিনিই (৩৬ বছর বয়সে) পীরের দরবার পরিচালনার দায়ীত্ব অনেকটা জোর করেই দখল করেন। ধীরে ধীরে তার পছন্দের অনুসারীদের রেখে বাকীদের বিতারিত করেন। প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা বলতে কোন খোজ খবর না থাকলেও তিনি কওমি শিক্ষায় শিক্ষিত বলে দাবি করেন।
পীরানি মজবুত করতে চতুর ফজলুল করিম রাজণীতিক জীবনে প্রবেশ করেন এবং হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে। কিন্তু অল্প দিনেই নেতৃত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টে টের পেয়ে হাফেজ্জী হুজুর খেলাফত আন্দোলন থেকে তাকে বহিস্কার করেন। পরে নিজেই ১৯৮৭ সালে ১৩ই মার্চ “ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলন” নামে একটি রাজনীতক দল গঠন করেন। রাজণীনৈতিক জীবনে প্রথমে জামাতে ইসলামী’র সাথে সখ্য গড়ে তুলেন এবং নেতৃত্বের দন্দ্বে ঠিকতে না পেরে নীরবেই কেটে পড়েন এবং‘ইসলামী ঐক্যজোটের” ব্যানারে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারান। আবার জামানত হারানোর ভয়ে ২০০১ সালে হুমূ এরশাদের সাথে লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করে হালে পানি পাননি। তারপর ২০০৮ সালে হাসিনার শাড়ীর আচল আকড়িয়ে ধরেন। এখন ২০১৩ সালে কোথায় তার গন্তব্য অপেক্ষায় আছি।
রাজণীতিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পীরানি ব্যবসায় তিনি সফল, বৈধ্য পয়সা আয়ের কোন পন্থা না থাকলেও তিনি গড়েছেন বিশাল সম্পত্তি,
রাজধানীর উলন রোডে ৫ কাঠা জায়গায় দূটি ৬তলা বাড়ী, হাজি আবু সাঈদের সঙ্গে রামপূরা সুপার মার্কেটের যৌথ মালিকানা, আমেরিকান এম্বাসির পুর্ব দিকে ণূরের চালায় কয়েকশ বিগা জমি ও ব নশ্রীতে ২টি বাড়ী ও কয়েকটি প্লটের মালিক তিনি। তাছাড়া নিজ এলাকা বরিশালের হাট খোলায় মার্কেট- আড়ত, চড়কাওয়া ও চড়মোণাইতে রয়েছে কয়েকশ বিগা জমি। কালীগঞ্জ বানুরি পাড়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসের বাড়ীর পাশে সৈয়দ ব্রিকফিল্ড সহ কয়েকটি ইটের ভাটা। এছাড়া ভোলা ও কুয়া কাটায় রয়েছে তার নামে বেনামে বিশাল সম্পত্তি।
ছবি আছে পোষ্ট ছোট রাখার স্বার্থে দেইনি।
১৯৯৯ সালে ঢাকার পল্টনে নোয়াখালী টাওয়ারের মালিক হাজ্বী দীন ইসলামের চাচাত ভাই ঊস্মান গনির সাথে যোগসাজশে জাল চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় তলার ৫০০০ স্কয়ার ফিটের ফ্লোর নিজ দলের লোকজন নিয়ে দখল নেন। এবং সেখানে ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলনের অফিস কাম নেতা কর্মী থাকার ব্যবস্তা হয়। এ নিয়ে হাজী দ্বীন ইসলামের হাইকোর্টের মামলা এখনো ঝুলে আছে।

এবার চোখ দেই পরিবারের দিকে, মাওলানা এসহাকের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাত বর্ত্মান পীরের সৎ মা আমেনা বেগম এই পীরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাবা’র বাড়ী নোয়াখালিতে ছিলেন মাওলানা জিবদ্দশাতেই, তাই মাওলানা এসহাক তার সাগরেদের মাধ্যমে ঢাকার গোপীবাগে বাড়ী কিনে দেন দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানের নামে। ১৯৭৭ সালে সেই বাড়ীতে ঘর তৈরি করে বাস করতে গেলে বর্তমান পীর ফজলুল করিমের লোকজন ঊচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এই নিয়ে ভুমি জরিপ অধিদপ্তর ঢাকায় ৩১ ধারায় সংশোধনী মামলা করেন যা এখনো চলছে। ঊল্টা মামলা করেন ফজলুল করিম পিতার মিথ্যা অসিয়ত নামে দেখিয়ে কিন্তু এই মামলা ১১৯৬ সালের ৪ সেপ্টেমবর খারিজ হয়ে গেলে মাওলানার লোকজন হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে রাম্পূরা থানায় জিডি করা আছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সাপ্তাহিক ২০০০ ছাপা হয়ে ছিল, তার কিছু অংশ,


No comments:
Post a Comment